আগামী শুক্রবার (৮ অক্টোবর) ১১টা চাকরীর পরীক্ষা একই দিনে। পরীক্ষার্থীদের দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি খেয়ে না খেয়ে পার্টটাইম জবের পাশাপাশি এই বড় চাকরির পরীক্ষার জন্য পড়াশোনা করে। অনেককেই সংসারও চালাতে হয়। সারাবছর একটু একটু করে পয়সা জমিয়ে এরা চাকরির জন্য আবেদন করে।
এই যে একই দিনে ১১টি চাকরির পরীক্ষা নেয়ার হঠকারী সিদ্ধান্ত!! আবেদনকারী এখন ১টি মাত্র পরীক্ষা দিতে পারবে।বাকি ১০টির জন্য প্রিপারেশন নিয়েও লাভ হলো না।আবেদন পত্রের এতগুলো টাকা নষ্ট হলো। সময়, শ্রম, টাকা সব কিছুই জলে গেল।
এদের চোখের পানির দায় কর্তৃপক্ষ কোনভাবেই এড়াতে পারে না। এ বিষয়ে দ্রুত কোন সমাধান নেয়া উচিত, যেন পরীক্ষাগুলো ভিন্ন ভিন্ন তারিখে নেয়া হয়।
জেনারেল বিসিএস দিতে গিয়ে এক ঘন্টা আগে পরীক্ষার হলে গিয়ে বসেছিলাম। তখন দেখেছি, অধিকাংশ পরীক্ষার্থী যারা আসে এদের বয়স অনেক। বিসিএস এর জন্য চেষ্টা করেই যাচ্ছে। এদের বেশিরভাগেরই পায়ে ছেঁড়া জুতা, গায়ে রঙ উঠা শার্ট।
প্রথমে আমি ভাবছি, একটা পরীক্ষা দিতে এসেছে অথচ এত খারাপ গেটআপ কেন এদের! ওই সেন্টারের কর্মচারীরাও এর থেকে ভাল ড্রেস পড়ে এসেছে।
পরক্ষণেই মনে হলো, কারণটা অভাব। একটা চাকরীর অভাব।
কিন্তু এদিকে মনভরা স্বপ্ন- একদিন চাকরি হবে, অবস্থার পরিবর্তন হবে। ব্যবসা করার মতো পুঁজি এদের থাকে না। পরিশ্রম করেই নিজেকে দাঁড় করাতে হয়। একদিনে ১১ পরীক্ষা নেয়া কর্তৃপক্ষ কি হঠাৎ করেই এই অবস্থানে এসেছেন!! দেশের অধিকাংশের অবস্থা বুঝতে তারা নারাজ কেন!!
(সুমাইয়া রহমান ইলমা’র ফেসবুক থেকে, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ঢাকা চিকিৎসা বিজ্ঞান জেলা শাখা)
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]