শিরোনাম
পুষ্টিবিদ থেকে সফল উদ্যোক্তা আকশা ইসাডোরা হৈম
প্রকাশ : ২১ জুলাই ২০২০, ১৬:৫৮
পুষ্টিবিদ থেকে সফল উদ্যোক্তা আকশা ইসাডোরা হৈম
নাজমুন নাহার নুপুর
প্রিন্ট অ-অ+

মেয়ে হিসেবে জন্মাবো আর বাধা আসবে না, এটা কখনোই সম্ভব না। কিন্তু আমরা নারী, আমরা পারি। উদ্যম, একাগ্রতা, অধ্যবসায় ও নিষ্ঠার সাথে কাজ করে নিজের স্বপ্ন পূরণের লক্ষ্যে এগিয়ে যাওয়ায় আমাদের প্রত্যাশা। আর সেই স্বপ্ন থেকেই শুরু হয়েছে ‘ফেব্রিকার্ট’, একটি দেশীয় পণ্যের সফল উদ্যোগ।


বলছিলাম ‘ফেব্রিকার্ট’-এর স্বত্বাধিকারী নারী উদ্যোক্তা আকশা ইসাডোরা হৈমর কথা। তিনি একাধারে একজন মা, স্ত্রী, পুষ্টিবিদ ও সফল উদ্যোক্তা।


‘ফেব্রিকার্ট’-এর স্বত্বাধিকারী আকশা ইসাডোরা হৈম।


ফুড অ্যান্ড নিউট্রিশন নিয়ে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করা এই উদ্যোক্তা প্রথমে বারডেম ও পরে খুলনার একটা প্রাইভেট মেডিকেল কলেজের পুষ্টিবিদ হিসেবে চাকরি করছিলেন।


চাকরি করার সময়েই বুঝতে পারেন এখানে টাকা থাকলেও নিজের কোনো আলাদা পরিচিতি নেই। তাই এমন এটা কিছু করতে হবে যাতে সবার কাছে আলাদা পরিচয়ে পরিচিত হতে পারেন। যেটা হবে সবার চোখে সম্মানের এবং নাম ও স্বপ্ন দুটোকেই উজ্জ্বল করবে।


নিজের একটা স্বতন্ত্র পরিচয় আর স্বপ্নের জন্য চাকরি ছেড়ে দিয়ে ‘হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন কেয়ার’ নামে একটি নিজস্ব চেম্বার খুলেন। বর্তমানে করোনার সময়ে ফেসবুকে ‘হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন কেয়ার’ নামের পেজের মাধ্যমে তিনি ও তার বন্ধু মাসরুর মৌ ই-কনসালটেন্সি প্রক্রিয়ার রোগীদের সেবা দিয়ে যাচ্ছেন।


মুক্তিযোদ্ধা বাবার সন্তান হিসেবে ছোট থেকে দেশপ্রেমিক, আদর্শবান ছিলেন হৈম। সবসময় চাইতেন নিজের পরিচয়ে বাঁচতে। কারো স্ত্রী, কারো কন্যা এই শব্দগুলোর চেয়ে নিজের কাজে পরিচিত হওয়ায় তার কাছে মুখ্য। আর তাই নিজের হেলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন চেম্বারের পাশাপাশি কি করা যায় তাই নিয়েই ভাবতেন।


চার স্বপ্নবাজ নারী উদ্যোক্তা ঐশী, নওশীন, নুসরাত ও হৈম।


উদ্যোগ নেন হারিয়ে যাওয়া দেশীয় সংস্কৃতি যেমন, তাতঁশিল্প, কুটিরশিল্প ইত্যাদির পুনরুজ্জীবিত করার কাজ করতে। সাথে নেন নিজের বোন ও কাজিনকে। সেই থেকেই শুরু। আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি তাদের। অনেকের মুখে চুনকালি মেখে তারা আজ সফল উদ্যোক্তা। তিনজনে পাঁচ হাজার করে মোট ১৫ হাজার টাকা নিয়ে শুরু করা উদ্যোগের মূলধন আজ ছাড়িয়ে গেছে প্রায় পঞ্চাশ লাখ টাকার উপরে।


তাদের এই সফলতাটা এমনিতে আসেননি। এর পেছনে রয়েছে অনেক কষ্টের, তিক্ত অভিজ্ঞতা। নানান চড়াই-উৎরাই পেরিয়ে আজ তারা সফলতার চূড়ায় পৌঁছেছেন।


কথায় কথায় জানা গেল, জন্মগতভাবে নাচের প্রতিভা নিয়ে এই পৃথিবীতে আসেন হৈম। এ বিষয়ে তিনি বলেন, আমার নাচের শুরুর গল্পটা ভীষণ ইনটেরেস্টিং। যা জেনেছি তা সত্যিই অবাক করার মতো। আমি নাকি যখন মায়ের পেটে ছিলাম তখন তবলা বা গানের আওয়াজ শুনলেই খুব নড়াচড়া করে উঠতাম। তাই আমার সাংস্কৃতিমনা বাবার প্রচণ্ড ইচ্ছে ছিল মেয়ে হলে তাকে অবশ্যই নাচের শিল্পী বানাবে। সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় বাবার সেই ইচ্ছে পূরণ হলো। আমি মেয়েই হয়ে এই পৃথিবীতে আসি। মাত্র সাড়ে ৩ বছর বয়সে আমি প্রথম স্টেজ প্রোগ্রাম করি। ওই প্রোগ্রামে অনেক নামও কুড়াই। আর সেই থেকে শুরু হলো আমার নাচের পথ চলা। পড়ালেখার পাশাপাশি চলতে থাকে নাচের বিভিন্ন রকম কার্যক্রম।


১৯৮৯ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত নৃত্যশিল্পী হিসেবে বেশ কয়েকটি জাতীয় পুরস্কারও পান এই উদ্যোক্তা। তার মধ্যে ১৯৯৫, ১৯৯৭ ও ১৯৯৯ সালের এ পুরস্কারগুলো উল্লেখযোগ্য জাতীয়ভাবে সম্মাননা। সময়ের পালাবদলে তিনি হয়ে যান সংসারী নারী। সংসারে দায়িত্ব বেড়ে যায়। নানান কাজের ভিড়ে আর নাচের ক্যারিয়ারটা ধরে রাখা সম্ভব হয়ে উঠেনি তার।


এভাবেই কেটে যায় কয়েকটি বছর। ২০১৪ সাল হৈমর জীবনে নেমে আসে এক অন্ধকার অধ্যায়। খুলনার একটা প্রাইভেট মেডিকেল হসপিটালে দীর্ঘ দিন ধরে ক্যান্সারের সাথে যুদ্ধ করে তার মা অবশেষে চলে যান পরপারে। ওই হাসপাতালেই পুষ্টিবিদ হিসেবে চাকরি করছিলেন হৈমু। ক্যান্সার আক্রন্ত হয়ে মারা যাওয়া মায়ের স্মৃতিগুলো নিয়ে ওই হসপিটালে চাকরিটা আর করতে পারছিলেন না তিনি। ছেড়ে দিলেন চাকরিটা।


মা মারা গেলে নিজের স্বামী-সংসার, সাড়ে ৩ বছরের বাচ্চা, সেই সাথে অবিবাহিতা এক বোন ইসাবেলা ঐশীর সকল দায়িত্ব এসে পরে হৈমর ‍উপরে।


এরপর কি করবে, কোথায় যাবে ঠিক কিছুই বুঝতে পারছিলেন না। হৈম বলেন, আমরা দুটা বোন হঠাৎ করে বুঝতে পারলাম পৃথিবীটা যেমন দেখে এসেছি, তেমন না। যতটা কঠিন ভেবেছি, তার থেকেও অনেক কঠিন। বসে থাকলে হবে না আমার। প্রথমেই দায়িত্ব এসে পড়ল বোনটা কে বিয়ে দিতে হবে। ওকে বিয়ে দিলাম। এর পর আমার বীভৎস একাকীত্ব আর হতাশার সময় শুরু হলো।


‘ফেব্রিকার্ট’-এর স্বত্বাধিকারী আকশা ইসাডোরা হৈম।


ছোটবেলা থেকেই মুক্তিযোদ্ধা বাবা আর স্কুল শিক্ষিকা মা তাকে সাবলম্বী হতে শিখিয়েছিলেন। তাই বসে না থেকে ডাক্তার এক ছোট ভাইয়ের সহযোগিতা, বুদ্ধি আর স্বামীর চেষ্টায় শুরু করলেন নিজস্ব চেম্বার ‘হলথ অ্যান্ড নিউট্রিশন কেয়ার’। কিছুটা ব্যস্ত হয়ে গেলেন। কিন্তু ছোট বোন তারই মত হতাশায় ডুবে ছিলেন।


উদ্যোক্তা হৈম বলেন, আমার আরো এক কাজিন নওশীন জামান খুলনার চারুকলা থেকে অসম্ভব ভালো রেজাল্ট করেছে। একজন আর্টিস্ট হিসেবে ঘর-সংসার সামলানোর পাশাপাশি অসাধারণ পেইন্ট করছিল। শুধু সুযোগের অভাবে তেমন কিছুই করতে পারছিল না। ভেবে দেখলাম সংসারের কাজের ভিড়ে আমরা নিজেদের নামটাকেই হারিয়ে ফেলছিলাম। তখন হঠাৎ করে একটা ডিসিশন নিলাম আমরা তিনজন মিলে অনলাইনে বিজনেস শুরু করবো।


২০১৬ সালে লেডিস ওয়্যার নিয়ে শুরু হলো ‘ফেব্রিকার্ট’ এর শুভ যাত্রা। নওশীন আর ঐশী ঢাকায় থাকায় তাদের দায়িত্ব পড়লো কাঁচামাল কেনা থেকে শুরু করে প্রোডাক্ট রেডি করা। আর যেহেতু হৈম খুলনায় থাকতেন তাই তার কাজ হলো খুলনায় প্রোডাক্টগুলো সেল করা। একটু একটু করে মানুষকে কনভিন্স করিয়ে বোঝানো যে, তাদের প্রোডাক্টগুলো কোয়ালিটি ফুল।


মাত্র ১৫ হাজার টাকা দিয়ে শুরু করা প্রথম লটের প্রোডাক্ট শুধু অফলাইনে খুব দ্রুত সেল হয়ে গেল। এরই মধ্যে ফেসবুকে পেজটা তৈরি হলেও প্রথম এক বছর তেমন কোনো সাড়া মিলছিল না। কারণ তখন মানুষও অনলাইনে জামা-কাপড় কেনাকাটাতে তেমন অভ্যস্থ ছিল না। মোট কথা, অনলাইনে কেনাকাটা সম্পর্কে যেন ভরসাই পেত না। কাস্টমার যা ছিল শুধু অফলাইনে পরিচিত, বন্ধু-বান্ধব আর আত্মীয় স্বজন।


নিজের শাড়িতে মডেল চার নারী উদ্যোক্তা। ঐশী, নওশীন, নুসরাত ও হৈম।


একজন পুষ্টিবিদ হয়ে ঝোলা হাতে বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাপড় বিক্রি করাতে মানুষ তাকে উপহাস করে নানান কটু কথা শুনাতেন। ওই তিক্ত অভিজ্ঞতার কথা জানালেন হৈম। তিনি বলেন, শুরুতে আমার কাজ নিয়ে মানুষেরা নানান ভাবে উপহাস করেছেন। কটু কথা শুনিয়েছেন। পুষ্টিবিদ হয়ে হয়ে যদি বাড়ি বাড়ি কাপড়ই বিক্রি করি, তাহলে এত কষ্ট করে পড়াশুনা করলাম কেন? মানুষের কথা কান না দিয়ে মনকে শক্ত করলাম। ভেঙে পড়লাম না। মনে কেমন যেন একটা জেদ চাপল। আমার বোনেরা খুব হতাশায় পড়ে গেল। তখন আমার কাজ ছিল শুধু ওদের উৎসাহ-অনুপ্রেরণা দিয়ে মনে শক্তি জোগানো।


সব হতাশা দূরে করে হঠাৎই আশার আলো হয়ে এলো একটা ভাল অর্ডার। খুব যত্ন করে সেটি ডেলিভারি দেয়া হয়। মনের জোর কিছুটা বেড়ে গেল। আস্তে আস্তে খুব ভালো সাড়া মিলতে লাগলো। আর তখনই দ্বিতীয় সিদ্ধান্ত নেন আত্মপ্রত্যয়ী এই তিন উদ্যোক্তা।


২০১৮ সাল। কোনো রকম ব্যাংক লোন ছাড়া, শুধু মনের জোর আর তাদের হাসবেন্ডদের অক্লান্ত পরিশ্রমে খুলনার প্রাণকেন্দ্রে চালু করেন ১ হাজার ২০০ স্কয়ার ফিটের একটা শোরুম। স্বপ্নে যোগ হলো নতুন পালক। এক ধাপ এগিয়ে গেলো স্বপ্নের উদ্যোগ ‘ফেব্রিকার্ট’।


ক্রেতার সংখ্যা বাড়তে থাকায় নিয়োগ দেয়া হয় হাতের কাজ ও টেইলারিং কর্মীদের। পণ্য থেকে যে লভ্যাংশ আসতো তা পুনরায় বিনিয়োগ করত উদ্যোগের প্রসারের জন্য। এভাবেই তাদের ব্যবসায়িক মূলধন বেড়ে যা বর্তমানে ৫০ লাখের মত।


ঠিক এই সময় নুসরাত জামান নামে পার্টনার হিসেবে দলে যোগ দিলেন হৈমর আরেক কাজিন। তিনি একজন দক্ষ ডিজাইনার। যার পেশাদারিত্ব, মেধা, বুদ্ধি আর অক্লান্ত পরিশ্রমের কারণে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করে প্রতিষ্ঠানটি। অল্পদিনে পণ্যের বিক্রয় ও পরিচিতি বেড়ে গেলো বহুগুণ।


‘ফেব্রিকার্ট’-এ মূলত হ্যান্ডপেইন্ট, সুতারকাজ, নকশিকাজ, ব্লক, বাটিক, এমব্রয়ডারি, নারীদের শাড়ি, থ্রীপিস ও পুরুষদের পাঞ্জাবি, ফতুয়া, সিগনেচার আইটেম, ক্যানভাস শাড়ি ও কাপল ড্রেস বিক্রি করা হয়।


‘ফেব্রিকার্ট’-এর স্বত্বাধিকারী আকশা ইসাডোরা হৈম।


গত কয়েক মাসে দেশি পণ্যের জনপ্রিয় অনলাইন প্লাটফর্ম উইমেন অ্যান্ড ই-কমার্স ফোরামের (উই) গ্রুপেই তাদের বিক্রি হয়েছে পাঁচ লাখ টাকার অধিক। তাই উই গ্রুপের প্রেসিডেন্ট নাসিমা আক্তার (নিশ) এবং প্রধান মেন্টর রাজিব আহমেদসহ গ্রুপের সকল সদস্যদের প্রতি অনেক কৃতজ্ঞ।


উইয়ের অবদান নিয়ে হৈমর ভাষ্য, উইয়ের অবদানের কথা বলে শেষ করা যাবে না। আজ দেশের এক কোনে (দক্ষিণাঞ্চল) বসে এই প্লাটফর্ম থেকে সকল সুযোগ-সুবিধা পাচ্ছি। সমস্ত পৃথিবী এই করোনার আঘাতে যখন থমকে গেছে, কোটি কোটি মানুষ যখন বেকার হয়ে হতাশায় দিন কাটাচ্ছে, তখন আমরা উইয়ের সব এক্টিভ মেম্বাররা ঘরে বসে লাখ টাকা আয় করছি। কাজের চাপে বসে থাকার বা হতাশায় ভোগার সময় পাচ্ছি না। শুধু তাই না, এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে আমাদের মতো মহিলারা সংসারের হাল ধরেছেন। কারোর বাবা, ভাই, স্বামীরা যখন টেনশন করছেন যে, এই পরিস্থিতিতে কিভাবে সংসার চালাবো, তখন উইয়ের হাত ধরেই আমরা নারীরা ওনাদের পাশে থাকতে পারছি। আমার মনে হয় না পৃথিবীর কোনো গ্রুপ পূর্বে এমন কিছু করে দেখাতে পেরেছে।


ব্যবসায় যখন বিক্রি বাড়ছিল তখন নিজস্ব কারিগরদের দিয়ে নিজের পছন্দ মতো অত্যাধুনিক ডিজাইনে পণ্য তৈরির পরিকল্পনা করেন তারা। কথা মতো ২০১৯ সালে সিরাজগঞ্জে একটি পুরাতন তাঁতবাড়ি সংস্করণ করেন। সেখানে শুরু করেন নিজস্ব ডিজাইনের তাঁতের শাড়ি ও ওড়না তৈরির কাজ। বর্তমানে এখানে বেশ কিছু তাঁতীর কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়। আর তাদের এই পুরো উদ্যোগটাকে বাস্তবায়নে কাজ করছেন ৩০ জনের মতো দক্ষ একদল কর্মী বাহিনী। সবাই খুবই এক্টিভ এবং আন্তরিক।


নিজস্ব প্রযুক্তি ও ডিজাইনে শাড়ি বুনছেন তাঁতী।


অদম্য এই নারী উদ্যোক্তা বলেন, কাজ করতে গিয়ে নানান অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। সেসব গল্প বলে শেষ করা যাবে না। তাই শুধু একটা কথাই বলবো, আমাদের মতো বিবাহিত নারীদের সংসারের বাইরে কিছু করা মানেই অনেক কষ্ট করতে হয়, কাঠ খড় পোড়াতে হয়, অনেক যুদ্ধ করতে হয়। আর এইসব করে সফলতা তখনই আসে যখন মনের অসম্ভব জোড়, ধৈর্য ও স্বপ্ন থাকে। ঘুমিয়ে থেকে স্বপ্ন তো সবাই দেখেন, সার্থক তো তখনই হয় যখন কেউ জেগে থেকে স্বপ্ন দেখেন আর তা পূরণ করার জন্যে সম্পূর্ণ মনের জোরে স্বপ্নের পথে হাঁটতে থাকে। কয়েকজন মেয়েকে নিয়ে আমিও হাঁটছি সে পথে, বাঁকিটা সবার দোয়া।


ফেব্রিকার্ট নিয়ে হৈমর স্বপ্নের কমতি নেই। স্বপ্ন দেখেন, ‘ফেব্রিকার্ট’ একদিন অনেক বড় প্রতিষ্ঠান হবে। আরো অনেক বেকার নারী কর্মী এসে কাজ করবে এই প্রতিষ্ঠানে। দেশ-বিদেশে এটি নাম কুড়াবে। দেশীয় পণ্যের ব্র্যান্ড হিসেবে এক নামে চিনবে ‘ফেব্রিকার্ট’কে।


বিবার্তা/উজ্জ্বল/জাই

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com