
নাটোরের সিংড়া পৌরসভার দক্ষিণ দমদমা ও উপজেলার চৌগ্রাম ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী জলারবাতা-বড়িয়া খাল পারাপারে কোন ব্রিজ নেই। জলাবদ্ধতা থেকে পমবড়িয়া ৩ কি.মি. কাঁচা রাস্তা থাকলেও খালের উপর কোন ব্রিজ না থাকায় প্রতি বর্ষায় চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েন স্থানীয় কাশফুল উলুম নেছারীয়া মাদরাসার শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা।
এছাড়া পমবড়িয়ার রাস্তা পাকাকরণ না হওয়ায় বিলের মাঠ থেকে ফসল ঘরে তুলতে বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয় কৃষকদের। রাস্তা পাকাকরণসহ ব্রিজ নিমার্ণের দাবি ভুক্তভোগীদের।
২০১৯ সালে খালের পাশেই স্থাপিত হয় কাশফুল উলুম নেছারীয়া মাদরাসা। সম্প্রতি অত্র এলাকায় দ্বীনি শিক্ষার একটি সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হিসাবে পরিচিতি লাভ করেছেন প্রতিষ্ঠানটি। রাজশাহী, বগুড়া, পাবনা সিরাজগঞ্জসহ দূর দূরান্তের অনেক শির্ক্ষাথী এ প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়ন করছেন।
শিক্ষক ও অভিভাবকরা বলছেন, ব্রিজ না থাকায় বর্ষার ৩ থেকে ৪ মাস খাল পারাপারে চরম বিপাকে পড়েন শির্ক্ষাথীরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, একটি মাত্র পুরাতন ডিঙি নৌকায় পারাপার হচ্ছেন তারা। প্রবল বাতাসে নৌকাও ঠিক ঠাক মত চালাতে পারছেন না শির্ক্ষাথীরা। এ অবস্থায় নুরানী ক্লাসের শির্ক্ষাথীরা মাদরাসায় যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। ফলে নুরানী পাঠদান বন্ধ আছে দুই সপ্তাহ ধরে।
ওই মাদরাসার শিক্ষক মুফতি আবু বকর ইবনে সানা, মুফতি জাকারিয়া মাসউদ ও মুফতি আবু সাঈদ জানান, বানের পানি বাড়ার সাথে সাথেই নুরানী ক্লাসের ছোট শিশুরা মাদরাসায় আসে না। এভাবে প্রতিবছরই বর্ষার কয়েক মাস এই ক্লাস বন্ধ রাখতে হয়। ব্রিজ নির্মাণের দাবি করেন শিক্ষকরা।
এলাকার শাহাদত হোসেন ও খোরশেদা বেগম নামের দুই অভিভাবক জানান, ভয়ে ছেলে মেয়েরা কেউ মাদরাসায় যায় না। আমরাও শঙ্কায় থাকি। তাই কয়েক মাস মাদরাসায় পাঠাই না।
স্থানীয় কৃষক ফরিদ, আমদ আলী ও আবুল কালাম জানান, পমবড়িয়াসহ সাতবড়িয়ার প্রায় ৫ হাজার মানুষের উপজেলা সদরে অল্প সময়ে যাওয়া আসার সহজ পথ হলো এই রাস্তা। এছাড়া বিলের মাঠ থেকে ফসল ঘরে তোলার জন্য রাস্তাটির গুরুত্ব অনেক বেশি। রাস্তা পাকাকরণসহ খালের উপর ব্রিজ নির্মাণের দাবি করেন তারা।
চৌগ্রাম ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলাম ভোলা জানান, পমবড়িয়া থেকে জলারবাতা দীর্ঘদিনের কাঁচা রাস্তাটি পাকাকরণসহ ব্রিজ নির্মাণ করা হলে কৃষকের পাশাপাশি মাদরাসার ছাত্র শিক্ষকদের উপকার হবে। জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা পাকাকরণ ও ব্রিজ নির্মাণের দাবি করেন তিনি।
উপজেলা প্রকৌশলী আহমেদ রফিক বলেন, রাস্তাসহ জলাবদ্ধতা খালে ব্রিজ নির্মাণের জন্য স্থানীয় সাংসদ প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক মহোদয়ের নির্দেশনা রয়েছে। চলনবিল প্রকল্প নামে একটি প্রকল্পের ডিপিপি তৈরির জন্য তালিকা করছি। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি চলনবিল প্রকল্পে ব্রিজসহ রাস্তার তালিকা অর্ন্তভুক্ত করবো।
বিবার্তা/রাজু/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]