রাজধানীর মূল সড়কে লেগুনা চলতে দেয়া হবে না বলে গত বছর নির্দেশনা দিয়েছিলেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহাম্মদ আছাদুজ্জামান মিয়া। কিন্তু তার নির্দেশনার পরে মাত্র তিনদিন বন্ধ ছিল এই লেগুনার চলাচল।
খোদ পুলিশ হেড কোয়ার্টারের সামনেই লেগুনার সবচেয়ে বড় স্ট্যান্ড এবং সেখান থেকে অবাধেই চালছে লেগুনা।
মূল সড়কের অনেকটাই দখল করে ফের দাপিয়ে বেড়াচ্ছে লেগুনা। রাজধানীর গুলিস্তান মাজার মোড়ে গেলেই দেখা মিলে এই চরম অনিয়ম।
আগের মতো পুলিশের নাকের ডগায় প্রায় সব রুটে চলাচল করলেও কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিতে দেখা যাচ্ছে না। যদিও অধিকাংশ রুটে রয়েছে পুলিশের একাধিক তল্লাশি চৌকি, মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক পুলিশের অবস্থান। তবুও থেমে নেই লেগুনার চলাচল।
গত বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়াও রাজধানীর সড়কগুলোতে শৃঙ্খলা ফেরাতে সেপ্টেম্বর মাসজুড়ে বিশেষ অভিযান পরিচালনার ঘোষণা দেন। একইসাথে ঢাকার মূল সড়ক দিয়ে অবৈধভাবে চলাচলরত লেগুনা বন্ধেরও নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, এগুলোর কোনো রুট পারমিট নেই। এতদিন যারা লেগুনা চালিয়েছে, তারা অবৈধভাবে চালিয়েছে। এখন থেকে মূল সড়কে লেগুনা চলতে দেয়া হবে না।
ঢাকাবাসীকে ট্রাফিক আইন মানতে নানাবিধ উদ্যোগও নেয়া হয় ডিএমপির পক্ষ থেকে। পুলিশকে সহায়তা করতে সড়কে অবস্থান নেন রোভার স্কাউটসহ স্বেচ্ছাসেবকরা। কিন্তু গত ৪ সেপ্টেম্বর ডিএমপি কমিশনের ঘোষণার পর ফের রাজধানীর প্রধান সড়ক দিয়ে লেগুনা চলাচল শুরু হওয়ায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েই এখন প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।
গত কয়েকদিন রাজধানীর গুলিস্তান থেকে আজিমপুর, মোহাম্মাদপুর ও ফার্মগেটগামী এসব লেগুনা চলাচল করতে দেখা যায়। যথারীতি অনেক লেগুনায় চালকের আসনে দেখা যায় অপ্রাপ্তবয়স্কদের।
কথা হয় লেগুনাচালক ইয়াছিন আলীর সঙ্গে। সে জানায়, আগের মতোই লেগুনা চলছে। পুলিশের পক্ষ থেকে এ রুটে চলাচলে কোনো বাধা দেয়া হচ্ছে না।
লেগুনামালিক শহীদুল ইসলাম বলেন, লেগুনা থেকে প্রাপ্ত লাভের বখরা অনেকের পেটে যায়। এ কারণে কেউ বাধা দেয় না। আগে অটোরিকশা, টেম্পো চলাচল করতো। তা উঠিয়ে নামানো হয় হিউম্যান হলার। তারও রুট পারমিট বন্ধ করা হয়। আমাদের পুনর্বাসন না করে হঠাৎ লেগুনা বন্ধের ঘোষণা কল্যাণকর হতে পারে না। কারণ লেগুনার যথেষ্ট যাত্রী আছে।
এ বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগের যুগ্ম কমিশনার (দক্ষিণ) মফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনাগুলো ট্রাফিকের ডিসিদের কাছে পাঠানো হয়েছে। কোথায় কোথায় লেগুনা চলবে আর কোথায় চলবে না, তার পর্যালোচনা চলছে।
তিনি বলেন, মূল সড়কে লেগুনা বন্ধের নির্দেশনার পরও যারা চালাচ্ছেন তাদেরও তালিকা হচ্ছে। যদিও রাজধানীতে লেগুনা বন্ধ হওয়ায় যাত্রীদের ভোগান্তি হবে। তবে সেটা সাময়িক। খুব শিগগিরই সব রুটে ভালো বাস নামিয়ে যাত্রীদের ভোগান্তি দূর করা হবে। সেই চেষ্টা চলছে।
বিবার্তা/আদনান/জাকিয়া
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]