শিরোনাম
‘বাবা কাঁদছেন, বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন ভাই’
প্রকাশ : ১১ এপ্রিল ২০১৯, ০৪:০৯
‘বাবা কাঁদছেন, বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন ভাই’
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

মেয়ের মৃত্যুর পর থেকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউর বাইরে বসে কাঁদছেন নুসরাতের বাবা মাওলানা এ কে এম মুসা আর বার বার জ্ঞান হারাচ্ছেন নুসরাতের বড় ভাই নোমান। কাঁদতে কাঁদতে জ্ঞান হারাচ্ছেন তিনি। জ্ঞান ফেরার পর আবার কাঁদছেন।


বুধবার রাত সাড়ে ৯টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। রাত সোয়া ১০টায় আইসিইউর বাইরে তাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন। তাকে দেখে নুসরাতের বাবা ও ভাই জড়িয়ে ধরে কান্না করতে থাকেন।


এ সময় ডা. সামন্ত লাল সেন তাকে বলেন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করেছি তাও আপনার মেয়েকে বাঁচাতে পারলাম না।


কান্না ভেজা চোখে নুসরাতের বাবা বলেন, আপনারা অনেক কষ্ট করেছেন, আমি নিজে দেখেছি। আপনাদের কোনো ত্রুটি ছিল না। আপনারা আমার মেয়ের জন্য দোয়া করবেন। যেন আল্লাহ তাকে বেহেশত নসিব করেন। আপনারা আমাদের দেখে রাখবেন।


উল্লেখ্য, গত ২৭ মার্চ নুসরাত জাহান রাফিকে নিজ কক্ষে নিয়ে শ্লীলতাহানির অভিযোগে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলাকে আটক করে পুলিশ। ওই ঘটনার পর থেকে তিনি কারাগারে। এ ঘটনায় রাফির মা শিরিন আক্তার বাদী হয়ে সোনাগাজী মডেল থানায় মামলা করেন।


গত ৬ এপ্রিল শনিবারসকালে রাফি আলিম পরীক্ষা দিতে সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসায় যান। এ সময় মাদ্রাসার এক ছাত্রী তার বান্ধবী নিশাতকে ছাদের উপর কেউ মারধর করছে- এমন সংবাদ দিলে তিনি ওই বিল্ডিংয়ের চার তলায় যান।


সেখানে মুখোশ পরা চার-পাঁচজন তাকে অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার বিরুদ্ধে মামলা ও অভিযোগ তুলে নিতে চাপ দেয়। রাফি অস্বীকৃতি জানালে তারা তার গায়ে আগুন দিয়ে পালিয়ে যায়।


বিবার্তা/নানা/শারমিন

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com