
প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে বাড়ি ছুটছেন মানুষ। রাজধানীর সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে অন্যান্য দিনে চেয়ে যাত্রীর চাপ বেড়েছে। নির্বিঘ্নে বাস ছাড়ছে কাউন্টার থেকে। তবে যাত্রীর চাপ থাকায় টিকিট পেতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে। কাউন্টারে এসে ১ থেকে ২ ঘণ্টা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হচ্ছে।
শনিবার (২৯ মার্চ)সায়েদাবাদ বাস টার্মিনালে যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঈদের আগ মুহূর্তে টিকিট পেতে কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। যারা অগ্রিম টিকিট কেটে রেখেছে তারা স্বাচ্ছন্দে যাচ্ছে। এছাড়া বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ করছেন যাত্রীরা।
বরিশালগামী আব্দুল বাকী লেন, পদ্মা সেতু হওয়ায় ৪ ঘণ্টায় বরিশাল যাওয়া যায়। কিন্তু ঈদে প্রায় সব পরিবহন মূল ভাড়ার চেয়ে ২০০ টাকা ভাড়া বেশি রাখছে।
বিএমএফ পরিবহনে নিয়মিত ভাড়া ৫০০। কিন্ত গতকাল থেকে ভাড়া ৭০০ রাখছে। আগামীকাল আরও বেশি ভাড়া রাখতে পারে। ২ জনের টিকিট কেটেছি ১৪০০ টাকা দিয়ে।
মেহেরপুরগামী যাত্রী রফিক জাগো নিউজকে বলেন, আমরা সাধারণত পূর্ভাসা পরিবহনে করে যাই। আজ কাউন্টারে এসে দেখি ৬৫০ টাকার টিকিট ৯০০ টাকা করে নিচ্ছে। ৬০০ টাকার টিকেট নিচ্ছে ৮০০ টাকা করে।
এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পূর্ভাসা পরিবহনের কাউন্টার কর্মচারী সুজন জাগো নিউজকে বলেন, ঈদে যাত্রীর চাপ বেশি থাকায় আমাদের সব গাড়ি ফেরত আসে খালি। যাওয়া-আসায় অনেক তেল খরচ হয়। তাই বাড়তি টাকা নিতে হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুরগামী ইকোনো পরিবহনের বাস অন্য সময়ে ৫০০ টাকা নিলেও গত দু-দিন থেকে ভাড়া নিচ্ছে ৭০০ টাকা করে। সায়েদাবাদ এই পরিবহনের যাত্রী রাশেদ বলেন, প্রতি বছর এরা ভাড়া বাড়ায়। ৭০০ টাকা দিয়ে টিকিট নিয়েছি। ফিরতি টিকিটও ২০০ টাকা বেশি দামে বিক্রি শুরু করেছে তারা।
পরিবহন কর্মচারীরা বলছেন, অন্য বারের তুলনায় এবার শেষ মুহূর্তে যাত্রীর চাপ কম। কারণ আগে ছুটি হয়ে মানুষ আগেই চলে গেছে। কাল হয়ত ভিড় আরও বাড়বে।
নোয়াখালীগামী হিমালয় ও আল বারাকা পরিবহন ৫০০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ৫৫০ টাকা করে। ৫০ টাকা কেন বেশি নেওয়া হচ্ছে প্রশ্নের জবাবে কাউন্টার ম্যানেজার বলেন, সব বাস খালি ঢাকায় আসে। তেল, কর্মচারী খরচতো যাচ্ছে। তাই বাস ভাড়া বেশি।
বিবার্তা/এমবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]