সূত্রাপুরে অপু হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
প্রকাশ : ০৪ জুন ২০২৪, ১৪:৫৩
সূত্রাপুরে অপু হত্যা: ২ জনের মৃত্যুদণ্ড বহাল
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

রাজধানীর সূত্রাপুরের আশিকুর রহমান খান অপু হত্যা মামলায় দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মঞ্জুরুল আবেদীন রাসেল ও নওশাদ হোসেন মোল্লা রবিন।


৪ জুন, মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চ এ রায় দেন।


রায়ে হাইকোর্টে খালাস পাওয়া মোহাম্মদ আলী মুন্নাকে যাবজ্জীবন এবং ইফতেখার বেগ ঝলককে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আপিল বিভাগ।


আসামিপক্ষে শুনাতিতে ছিলেন আইনজীবী মুনসুরুল হক চৌধুরী, সরওয়ার আহমেদ ও মোশতাক আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন বাপ্পী।


মামলার নথিসূত্রে জানা গেছে, ২০০৮ সালের ২৩ মে সন্ধ্যায় সূত্রাপুর থানার ৪/১ ওয়ারী হেয়ার স্ট্রিটের বাসা থেকে সন্ত্রাসীরা অ্যাডভোকেট রইস উদ্দিনের ছেলে নিহত অপুর ভাই আরিফুর রহমান খান সেতুকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারতে মারতে স্থানীয় সিলভারডেল স্কুলের মাঠে নিয়ে যান। খবর পেয়ে সেতুর ভাই অপু ও আতিকুর রহমান খান বাপ্পী সেখানে গেলে সন্ত্রাসীরা তাদের এলোপাতাড়িভাবে গুলি করেন। এরপর তাদের তিন ভাইয়ের মৃত্যু নিশ্চিত মনে করে গুলি করতে করতে চলে যান তারা।


পরে স্থানীয়রা মারাত্মক আহত অবস্থায় তিন ভাইকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক অপুকে মৃত ঘোষণা করেন এবং দুই ভাই প্রাণে বেঁচে গেলেও চিরতরে পঙ্গু হয়ে যান।


এ ঘটনায় নিহত অপুর বোন আতিয়া খান কেয়া বাদী হয়ে সূত্রাপুর থানায় একটি হত্যা মামলা করেন।


ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক মাকসুদুর রহমান ২০০৮ সালের ৩১ আগস্ট ওই সাত আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্র থেকে জানা যায়, আসামিরা ১২ লাখ টাকা চাঁদার দাবিতে এ হত্যাকাণ্ড ঘটান।


২০০৯ সালের ১২ এপ্রিল আদালত আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন। বিচার শেষে ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক শাহেদ নূর উদ্দিন ২০১২ সালের ১৩ মার্চ আশিকুর রহমান খান অপু হত্যা মামলায় দুই আসামিকে ফাঁসি ও চারজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ওই রায়ে আতিক আহমেদ শিপলু নামে একজনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়।


নিয়ম অনুসারে ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টে পাঠানো হয়। আর কারাবন্দি আসামিরা আপিল করেন।


২০১৮ সালের ৭ মে অপু হত্যা মামলায় বিচারিক আদালতের দেওয়া দুই আসামির ফাঁসির দণ্ড বহাল রেখেছিলেন হাইকোর্ট। তবে যাবজ্জীবনপ্রাপ্ত চারজনের মধ্যে দুইজনকে খালাস দেন। বাকি দুইজন পলাতক থাকায় তাদের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি আদালত।


বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মাহবুব আলম, মোহাম্মদ আলী মুন্না, ইফতেখার বেগ ঝলক ও বিপ্লব চন্দ্র দাস। তাদের মধ্যে হাইকোর্ট মুন্না ও ঝলককে খালাস দিয়েছিলেন। বাকি দুই আসামি মাহবুব আলম ও বিপ্লব পলাতক।


এ রায়ে মৃত্যুদণ্ড বহাল থাকা দুইজন আপিল করেন। পাশাপাশি খালাস পাওয়া দুইজনের বিরুদ্ধেও আপিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। সব আপিলের শুনানি ২১ মে মঙ্গলবার শেষ হয়।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com