রাজধানীর শাহজাহানপুরের গুলবাগে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় আটজনকে গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে বলে জানিয়েছে ডিবি।
২৩ জুলাই, রবিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আটজনকে শনিবার দিবাগত রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে গ্রেফতার করে ডিবি মতিঝিল বিভাগ।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন-হাবিব আহসান (২২), মো. আলিফ হোসাইন (২১), মো. রবিউল সানি (২১), মো. মেহেদী হাসান (১৯), মো. শাহজালাল (৩৭), মো. রফিকুল ইসলাম (৩৮), নুর আলম (৪২) ও মো. সুমন মীর (২৮)।
ডিবি জানায়, এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে যুবলীগ নেতা অলিউল্লাহ রুবেলকে হত্যা করা হয়েছে। গ্রেফতার হাবিব ও শাহজালাল এই হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী। স্থানীয় বাজার ও ফুটপাতের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে শাহজালালের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিরোধ ছিল রুবেলের।
তিনি বলেন, হত্যাকাণ্ডের মূল পরিকল্পনাকারী শাহজালাল ও নিবির নামে দুই ব্যক্তি। দুইজনই স্থানীয় চাঁদাবাজ। শাহজালালের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় ২৫টির ওপরে মামলা রয়েছে। এলাকার ফুটপাত ও বাজারের নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করে রুবেলের সঙ্গে বিরোধ হয় নিবির ও শাহজালালের।
আধিপত্য বিস্তারের জেরে নিবির এবং শাহজালাল মিলে রুবেলকে মারার জন্য হাবিব নামে একজনকে ঠিক করেন। তারই ধারাবাহিকতায় হাবিবকে চাপাতি কেনার জন্য ৪ হাজার টাকা দেন নিবির। এরপর খিলগাঁও বাজার থেকে দুটি চাপাতি কেনেন হাবিব। পরবর্তীতে ঘটনার আগের দিন শাহজালাল ও হাবিব মিলে রুবেলকে মারার পরিকল্পনা করেন।
মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, ঘটনার দিন অনন নামে আরেকজন তার ব্যক্তিগত মোটরসাইকেল নিয়ে রুবেলের গতিবিধি লক্ষ্য করতে থাকেন। পরে রুবেল রিকশাযোগে বাসার দিকে রওনা হলে অনন সেই খবর হাবিবকে জানান। এই খবর পেয়ে হাবিব ও আলিফ চাপাতি নিয়ে রুবেলের বাড়ির সামনে অবস্থান নেন। তখন মেহেদী হাসান ও সানি রাস্তার দুই পাশে পাহারায় ছিলেন। পরে রুবেলকে রিকশায় দেখতে পেয়ে হাবিব এবং আলিফ চাপাতি নিয়ে এগিয়ে আসলে রুবেল দৌড়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করেন। এসময় পেছন থেকে হাবিব ও আলিফ তাকে ধাওয়া করেন।
ডিবি প্রধান বলেন, আলিফ রুবেলের মাথায় চাপাতি দিয়ে কোপ দিলে তিনি মাটিতে পড়ে যান। সে সময় হাবিব ও আলিফ চাপাতি দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যান। পালানোর সময় চাপাতি রাস্তার পাশে ফেলে দেন। পরে ভিকটিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
এই ঘটনায় আর কে কে জড়িত- এমন প্রশ্ন করা হলে হারুন অর রশীদ বলেন, এ বিষয়ে আমাদের তদন্ত চলছে। অননসহ আরও কয়েকজন পলাতক রয়েছেন। তাদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
বিবার্তা/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]