রাজধানীর ভাটারা এলাকায় স্ত্রীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের লোভ দেখিয়ে ডেকে এনে সাইফুল নামে এক ব্যবসায়ীকে খুন করা হয়েছে। এ ঘটনায় এক দম্পতিকে আটক করেছে পুলিশ।
সোমবার (১৩ জুলাই) পুলিশ জানিয়েছে, নারীর লোভ দেখিয়ে বাসায় ডেকে এনে টাকা আদায় করাই ছিল এই দম্পতির পেশা। টাকা আদায় নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে খুন করা হয় সাইফুলকে।
সম্প্রতি রাজধানীর ভাটারা এলাকার একটি বাসা থেকে উদ্ধার হয় ব্যবসায়ী সাইফুলের লাশ। ঘটনার পর থেকেই পলাতক ছিল বাসার তরুণ ভাড়াটিয়া দম্পতি। রহস্য উদঘাটনে মাঠে নামে গোয়েন্দা পুলিশ। গ্রেফতার হন আপেল-শান্তা দম্পতি।
আটকের পর প্রথমে শান্তা বলেন, পূর্বপরিচিত সাইফুল তাদের বাসায় বেড়াতে এসে শান্তার সঙ্গে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয়। এতে বাধা দিলে শান্তাকে ছুরিকাঘাত করে সাইফুল। কেটে যায় শান্তার পা। ধস্তাধস্তির এক পর্যায়ে মদ্যপ সাইফুল নিজের ছুরির আঘাতেই মারা যান। শান্তার পায়ে আঘাতের চিহ্ন দেখে বিশ্বাস করতে চান গোয়েন্দা কর্মকর্তারাও।
কিন্তু পরে জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে সব স্বীকার করেন আপেল শান্তা দম্পতি। শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দিয়ে সাইফুলকে ডাকা হয় বাসায়। কিন্তু বাসায় আসার পর সাইফুলের জামা কাপড় খুলে নেন আপেল ও তার বন্ধুরা। দাবি করা হয়, মোটা অংকের টাকা। সাইফুল চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে ছুরিকাঘাত করে আপেল। সেই আঘাতের একটি এসে লাগে শান্তার পায়ে।
শান্তা বলেন, আমাকে শারীরিক সম্পর্ক করার কথা বলে ফোন দিতে বললে, আমি সাইফুলকে ফোন দেই।
আপেল বলেন, সে যখন পড়ে যায়, তখন তার মুখে ওড়না গুজে দেই। তার ধস্তাধস্তির এক সময় আমার হাতের ছুরিতেই আঘাত লাগে আমার স্ত্রীর।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, ঘটনার পরদিন সকালে বাসা থেকে পালিয়ে যাওয়ার সময় ৩০০ ফুট সড়ক এলাকায় একটি সেতুর নিচে ছুরিটি ফেলে যায় শান্তা। তার দেখানো মতে, উদ্ধার করা হয় ছুরিটি। শান্তার কললিস্ট পরীক্ষা করে দেখা যায়, ১৫ দিনে ৬ হাজার ফোন করেছে সে। এ থেকেই বোঝা যায় ফোন করে ব্ল্যাকমেইল করাই ছিল তাদের পেশা।
বিবার্তা/খলিল/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]