রাজধানীর নিউমার্কেটে চাকরি করেন মো. ফায়জুল হক। রবিবার (৬ অক্টোবর) সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে দোকান বন্ধ করে মোহাম্মদপুরে নিজের বাসায় ফিরছিলেন তিনি। ঢাকা কলেজের সামনে আসতেই ফায়জুলকে ঘিরে ধরে চার যুবক।
কিছু বুঝে ওঠার আগেই একজন ফায়জুলের কানের কাছে ফিস ফিস করে বলে- কথা বলবি না। সামনে চল। সোজা সায়েন্স ল্যাবরেটরির দিকে যা।
পরে ফায়জুল হককে নিয়ে আটকে রাখা হয় রাজধানীর মিরপুরের শাহ আলীবাগের পূর্ব আহমেদনগরের একটি বাড়িতে। সেখানে টানা কয়েক ঘণ্টা তাকে মারধর করা হয়। মারধরের পর ফোনে ফায়জুল হকের চিৎকার শুনিয়ে তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে ৬০ হাজার টাকা বিকাশের মাধ্যমে আদায় করেন অপহরণকারীরা।
তবে সোমবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে অভিযান চালিয়ে ফায়জুল হককে উদ্ধার করে নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। ফায়জুল হককে অপহরণের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে সোহাগী বেগম (৪৮), সোহাগীর ছোট বোন রিতা (৪০), সোহাগী বেগমের মেয়ে স্বর্ণা (২২) ও ছেলে শয়ন (১৯) এবং শয়নের বন্ধু জাওয়াদকে (২০) আটক করা হয়।
ফায়জুল হকের ভাই শেখ মো. ফজলুল হক জানান, ‘সাইন্সল্যাব এলাকা থেকে মাইক্রোতে করে ফায়জুলকে প্রথমে নেয়া হয় মিরপুর-১ নম্বর চত্বরের আগে একটি চাইনিজ রেস্টুরেন্টের সামনে। সেখান থেকে রিকশায় করে শাহ আলীবাগে ধানখেতে মোড়ের পাশে ছয় তলার একটি ফ্ল্যাটে। এরপর টানা কয়েক ঘণ্টা ফায়জুলকে বেদম পেটানো হয়। এ সময় আমাকে ফোন করে ভাইয়ের চিৎকার শোনায় অপহরণকারীরা। তারা বিকাশের মাধ্যমে রাত একটা পর্যন্ত কয়েক দফা টাকা দাবি করে। আমরা কয়েক দফায় ৮০ হাজার টাকা বিকাশ করি।
ফজলুল হক বলেন, রাতে টাকা দিলেও আমি সোজা নিউমার্কেট থানায় চলে যাই। নিউমার্কেট জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার সাইফুল ইসলাম ও নিউমার্কেট থানার ওসি মো. আতিকুল ইসলামকে পুরো ঘটনা জানাই।
তারা রাত একটার দিকে আমাকে জানান যে, ফায়জুল হককে মিরপুরের শাহ আলীবাগ এলাকায় রাখা হয়েছে। সকাল বেলা টাকা দাবির কথা জানালে আরও ১০ হাজার টাকা বিকাশ করি। তবে সময়ক্ষেপণের কৌশল নিয়েছিলাম। বাড়ির ঠিকানা নিশ্চিত করার পর সোমবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে ফায়জুল হককে উদ্ধার এবং পাঁচ অপহরণকারীকে আটক করে পুলিশ।
বিবার্তা/আবদাল
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]