রোটেশন ছাড়া কারোর একক নেতৃত্ব মানবে না শেকৃবি: উপাচার্য
প্রকাশ : ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৯:০২
রোটেশন ছাড়া কারোর একক নেতৃত্ব মানবে না শেকৃবি: উপাচার্য
শেকৃবি প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের কৃষি গুচ্ছভুক্ত ৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক ১ম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে।


শনিবার (১২ এপ্রিল) বেলা ৩টা থেকে ৪টা পর্যন্ত সারাদেশে একযোগে ৯টি কেন্দ্রে ও ১৩ টি উপকেন্দ্রসহ মোট ২২ টি কেন্দ্রে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।


কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার এবারের শিক্ষাবর্ষের নেতৃত্ব দিয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। এবারের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরিক্ষায় ৩৭ হাজার ৭৬০ জন আবেদনকারীর মাঝে পরীক্ষা দিয়েছেন ৩২ হাজার ১১২ জন শিক্ষার্থী।


শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) কেন্দ্রে এবারের কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় মোট ১০ হাজার ৪শ ৩১ জন অংশগ্রহণ করেছেন।


বাকৃবির সাংবাদিক সমিতির সাথে সাক্ষাৎকালে আগামী পাঁচ বছর টানা গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় নেতৃত্ব দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি)। তবে এই প্রস্তাবে দ্বিমত পোষণ করেছে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (শেকৃবি)। তারা জানিয়েছে, রোটেশনাল পদ্ধতি অনুসরণ না হলে শেকৃবি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেবে না, বরং স্বতন্ত্রভাবে পরীক্ষা গ্রহণ করবে।


শনিবার (১২ এপ্রিল) দুপুরে বাকৃবি সাংবাদিক সমিতির সাথে এক আলোচনায় বাকৃবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, “বাকৃবির নেতৃত্বে আগামী ৫ বছর টানা কৃষিগুচ্ছ পরীক্ষা হলেই কেবল গুচ্ছতে থাকবো, অন্যথায় বাকৃবি স্বতন্ত্র পরীক্ষা নেবে।”


এ বক্তব্যের পর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার পর এক প্রেস ব্রিফিংয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়(শেকৃবি) উপাচার্য অধ্যাপক ড. আব্দুল লতিফ জানান, “গুচ্ছ পদ্ধতির মূল উদ্দেশ্য ছিল ভর্তি প্রক্রিয়া সহজ ও সমন্বিত করা। সেটি যদি হারিয়ে যায়, তাহলে গুচ্ছের যৌক্তিকতা আর থাকে না। কৃষি গুচ্ছে রোটেশনাল নেতৃত্ব একটি প্রচলিত রীতি। আগেও আমরা নেতৃত্ব দিয়েছি। এ বছর বাকৃবি দিয়েছে। এই রীতি না মানলে আমরা গুচ্ছে থাকবো না।”


তিনি আরও বলেন, “বাকৃবি যদি এককভাবে পাঁচ বছর নেতৃত্ব দিতে চায়, তাহলে আমরা গুচ্ছে যাবো না। বরং শেকৃবি স্বতন্ত্র পরীক্ষা নেবে। তবে অন্য কোনো কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় আমাদের সঙ্গে যুক্ত হতে চাইলে আমরা আলাদা গুচ্ছ গঠন করতেও প্রস্তুত।”


বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে এই ভিন্নমত গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার ভবিষ্যৎ নিয়ে সংশয় সৃষ্টি করেছে। শিক্ষার্থীদের স্বার্থে দ্রুত সমন্বয় ও আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্তে পৌঁছানো জরুরি বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।


বিবার্তা/ফাহিম/এমবি

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com