
ইন্দুরকানীতে ঘুষের টাকা ফেরত দিলেন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর এ কে এম আবুল খায়ের। জানা যায়, উপজেলার চরনী পত্তাশী রহিম স্মৃতি দাখিল মাদ্রাসার সহকারী মৌলবি মোঃ নজরুল ইসলাম তার বিএড স্কেল বৃদ্ধি করণের জন্য পঞ্চাশ হাজার টাকা ঘুষ নেন উপজেল মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার।
বেতন স্কেলে অর্ন্তভুক্তি না করার কারণে তার কাছে বার বার টাকা ফেরত চাইলে টাকা দেয়নি। ভুক্তভোগী শিক্ষক তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ দাখিল করেন । কিছুদিন পরে ইন্দুরকানী উপজেলা থেকে মঠবাড়িয়া উপজেলায় বদলি হয় এবং ইন্দুরকানী উপজেলা শিক্ষা অফিসার হিসেবে অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করেন। গত সপ্তাহে শিক্ষা অফিসার মীর এ কে এম আবুল খায়ের মঠবাড়িয়া থেকে ভোলা চরফ্যাশন উপজেলায় বদলি হয়। সোমবার উপজেলা শিক্ষা অফিসার জেলা শিক্ষা অফিস থেকে বদলীর ছাড়পত্র নেওয়ার সময় ভুক্তভোগী শিক্ষক সেই টাকা দাবি করেন এবং তাকে অবরুদ্ধ রাখা হয়। জেলা শিক্ষা অফিসের সমঝোতায় ভুক্তভোগী শিক্ষককে বিভিন্ন খরচ বাদ দিয়ে ২৫হাজার ঘুষের টাকা ফেরত দেওয়া হয় ।
নাম প্রকাশের অনিচছুক শিক্ষক জানান, শিক্ষা অফিসার মীর এ কে এম আবুল খায়ের ইন্দুরকানী উপজেলায় আট বছর কর্মরত ছিলেন । তিনি সেই সুযোগে ঘুষ, শিক্ষক নিয়োগের অনিয়ম ও কৌশলে সরকারি টাকা আত্মসাথে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে।
ভুক্তভোগী শিক্ষক মোঃ নজরুল ইসলাম জানান, আমার কাছ থেকে বেতনস্কেল উন্নতি করণের জন্য শিক্ষা অফিসার মীর এ কে এম আবুল খায়ের ৫০ হাজার টাকা নিয়েছে। জেলা শিক্ষা অফিসের সহায়তায় আমি ২৫ হাজার টাকা ফেরত পাইছি ।
অভিযুক্ত উপজেলা শিক্ষা অফিসার মীর এ কে এম আবুল খায়ের এব্যাপারে তার কাছে জানতে চাইলে ফোন রিসিভ করেনি ।
বিবার্তা/শামীম/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]