
রাজধানীর শাহজাদপুরের একটি আবাসিক হোটেলে আগুন লাগা নিহতদের মধ্যে একজন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার বিজয়নগর উপজেলার স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক এমদাদ সাগর (৩২)।
ঘটনার তিন দিন পর বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) পরিবারের লোকজন তার লাশ শনাক্ত করেছেন। বিকেলে ঢাকা থেকে তার লাশ বিজয়নগরে নিয়ে আসা হচ্ছে।
গত সোমবার শাহজাদপুরের বীর-উত্তম রফিকুল ইসলাম এভিনিউয়ে (সৌদিয়া) আবাসিক হোটেলে লাগা আগুনে চারজনের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে এমদাদ সাগরের লাশ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে ছিল। হোটেল থেকে উদ্ধার হওয়া কাগজপত্র ও পাসপোর্টের মাধ্যমে পুলিশ তার পরিচয় সম্পর্কে ধারণা পায়। এমদাদ সাগর বিজয়নগর উপজেলার ইছাপুরা ইউনিয়নের খাদুরাইল গ্রামের জারু মিয়ার ছেলে।
বিজয়নগর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এমদাদ বর্তমানে সেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলেন।
তার বিরুদ্ধে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানায় একটি হত্যা মামলা রয়েছে। তিনি কয়েক মাস ধরে পলাতক ছিলেন। মালয়েশিয়া ও শ্রীলঙ্কা ঘুরে এসে তিনি ঢাকার ওই হোটেলে অবস্থান নেন।
বিজয়নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. রওশন আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ওসি জানান, গুলশান থানার পুলিশ বিষয়টি অবগত করে নিহতের একটি ছবি পাঠায়। পরে স্থানীয়ভাবে তার পরিচয় সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া হয়।
নিহতের মামাতো ভাই লিটন মুন্সি জানান, প্রায় ১ মাস আগে সাগর মালয়েশিয়ায় যান। সেখান থেকে আবার শ্রীলংকায় গিয়ে ২ মার্চ সে দেশে এসে সৌদিয়া হোটেলে ওঠেন। সোমবার রাতে হোটেলে আগুন লাগলে আহত অবস্থায় সাগরকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গুলশান থানার পুলিশ বৃহস্পতিবার( ৬ মার্চ) বিষয়টি আমাদেরকে ও বিজয়নগর থানাকে অবহিত করেন।
গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) মো. জাহিদ হাসান জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে স্বজনেরা এসে এমদাদ সাগরের লাশ নিয়ে গেছেন। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ধোঁয়ায় দমবন্ধ হয়ে তিনি মারা গেছেন। তবে ময়না তদন্তের রিপোর্ট ছাড়া নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।
বিবার্তা/আকঞ্জি/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]