
দেশের দক্ষিণ পশ্চিমের জেলা চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে বয়ে যাওয়া মৃদু শৈত্যপ্রবাহ কেটে গেছে। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানে বেড়েছে তাপমাত্রা। তবে কাগজে কলমে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও তীব্র শীতে কাঁপছে চুয়াডাঙ্গা।
শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় ও ৯ টায় চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণীর আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার জেলার তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১০ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় একই সময় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সে হিসেবে ১ দিনের ব্যবধানে জেলার তাপমাত্রা বেড়েছে ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়া সংশ্লিষ্টরা বলছেন, কাগজে-কলমে শৈত্যপ্রবাহ না থাকলেও শৈত্যপ্রবাহের মতোই শীত অনুভূত হয়েছে। মূলত ঘন কুয়াশার কারণে সূর্যের আলো না আসায় এবং উত্তরের ঠান্ডা বাতাসের প্রভাবে দিন-রাতের তাপমাত্রার পার্থক্য অনেক কমে যাওয়ায় শীতের দাপট চলছে।
চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ১ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়লেও উত্তর থেকে নেমে আসা হিমশীতল ঠান্ডা বাতাসের কারণে তীব্র শীত অনুভূত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে বিপাকে পড়েছেন নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ।
সাধারণ মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না। সড়কে মানুষের উপস্থিতি তুলনামূলক কম। শীত থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মানুষ খড়-কুটোয় আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন অনেকেই।
দিনমজুর নওশাদ আলি বলেন, ‘ভোরে ঘুম থেকে উঠে কাজের জন্য জেলা শহরে আসতে হয়। এত শীতে সাইকেল চালিয়ে শহরে পৌঁছানো কষ্টের ব্যাপার হয়ে দাঁড়ায়। হাত অাভাস হয়ে পড়ে। শীতে কাজও তেমন একটা নেই। দীর্ঘ সময় অপেক্ষা করে কাজ না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।
ট্রাকচালক রবজেল জানান, চরম শীত পড়েছে। কুয়াশাও রয়েছে। কুয়াশার কারণে গাড়ি চালানো কষ্ট হয়ে পড়েছে। হেডলাইট জ্বালিয়ে চলতে হচ্ছে।
বাড়বাজারের ব্যবসায়ী হাসানুজ্জামান খসরু বলেন, ‘শীতের কারণে বাইরে মানুষ চলাচল কম। দোকান খোলা থাকলেও বিক্রি নেই। যাদের প্রয়োজন তারাই বাজারে আসছেন।
বিবার্তা/আসিম/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]