পলাশে
বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ : চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫, ১৯:১৯
বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষ : চিকিৎসাধীন গুলিবিদ্ধ ছাত্রদল কর্মীর মৃত্যু
নরসিংদী প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

নরসিংদীর পলাশে বিএনপির দুপক্ষের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত ছাত্রদল কর্মী ইসমাঈল হোসেন চিকিৎসাধীন থাকার ৬ দিন পর মারা গেছেন।


শনিবার (২১ জুন) দুপুর ২ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়।


নিহত ইসমাঈল হোসেন (২৬) পলাশ থানার ঘোড়াশাল পৌরসভার খানেপুর মহল্লার আব্দুর রহিম ভূঁইয়ার ছেলে ও পলাশ উপজেলা ছাত্রদলের কর্মী হিসেবে পরিচিত।


মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন নিহত ইসমাঈল এর পিতা আব্দুর রহিম ভূঁইয়া।


আব্দুর রহিম ভূঁইয়া জানান, "শনিবার দুপুর ২ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর ছেলে ইসমাঈল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হবে এবং হস্তান্তরের পর আজ রাতেই পলাশে নিজ এলাকায় ইসমাঈলের মরদেহ দাফন করার প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে। ইসমাঈল হত্যায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচার দাবি করেন আব্দুর রহিম ভুঁইয়া।


পলাশ থানা ছাত্রদলের সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর পাপন বলেন, " নিহত ইসমাঈল হোসেন ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন। বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েল ও তার লোকজনের গুলিতে গুলিবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গত ১৫ জুন ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিলে জুয়েলের লোকজন হামলা ও গুলি চালায়। এতে অন্তত ১০ জন আহত হয়। আমরা এ ঘটনার নিন্দা জানাই এবং পাশাপাশি ইসমাঈল হত্যায় জড়িত সকলকে আইনের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছি।"


পলাশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনির হোসেন বলেন, " আহত ইসমাঈল হোসেন মারা গেছেন বলে জানতে পেরেছি। তবে আনুষ্ঠানিকভাবে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ আমাদেরকে এখনও জানায়নি। বিষয়টি জানানোর পর পরবর্তী আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।


গত রোববার (১৫ জুন) সন্ধ্যার দিকে ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পলাশ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় বিএডিসির মোড়ে পলাশ উপজেলা ছাত্রদল ও জেলা বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল কবির জুয়েলের শোডাউনকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ঘটনায় উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন গুলিবিদ্ধ হয়। পরে, আহত ইসমাঈলকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।


এ ঘটনায় রোববার রাতেই ঘোড়াশাল পৌর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক সিয়াম মিয়া বাদী হয়ে জেলা বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুর কবির জুয়েলকে প্রধান আসামি করে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪০ থেকে ৫০ জনকে আসামী করে পলাশ থানায় মামলা করেন।


পরে, বিএনপি নেতা জুয়েলের পক্ষ থেকেও আরেকটি পাল্টা মামলা করা হয়। এ ঘটনার জেরে গত বৃহস্পতিবার সকালে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতাল থেকে বিএনপি নেতা জুয়েলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।


বিবার্তা/কামরুল/এসএস

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com