দৌলতপুরে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষে কৃষকদের সাফল্য
প্রকাশ : ২১ জুন ২০২৫, ২২:৪৪
দৌলতপুরে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপি চাষে কৃষকদের সাফল্য
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বাঁধাকপি বা ফুলকপি যেটাই বলি না কেন, তা শীতকালীন সবজি হিসেবে পরিচিত। কিন্তু সেই শীতকালীন সবজি এখন গ্রীষ্মকালে পাওয়া যাচ্ছে। গ্রীষ্মকালে বাঁধাকপি চাষ করে বাজিমাত করেছেন কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাঁধাকপি চাষে সফলতার মুখ দেখছেন তারা। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে লাভ হচ্ছে দ্বিগুন। অসময়ে চাষকরা এ বাঁধাকপি সরবরাহ হচ্ছে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন সবজি বাজারে।


জেলার সীমান্তবর্তী উপজেলা জেলা দৌলতপুর। কৃষি নির্ভর এ উপজেলায় চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে ৭০ হেক্টর জমিতে বাঁধাকপি চাষ হয়েছে। বিঘাপ্রতি কৃষকদের খরচ হয়েছে ৩০ হাজার থেকে ৩৫ হাজার টাকা। বিক্রয় হচ্ছে ৮০ হাজার টাকা বা তারও বেশী। খরচ বাদ দিয়ে কৃষকরা লাভের মুখ দেখায় তারা খুশি। তবে গত বছরের তুলনায় এবছর বীজ ও সারসহ উৎপাদন খরচ বৃদ্ধি পাওয়ায় লাভের অংক কমেছে এমন দাবী কৃষকদের।


উপজেলার আদাবড়িয়া ইউনিয়নের ধর্মদহ গ্রামের কৃষক ওবাইদুল ইসলাম বলেন, চলতি গ্রীষ্ম মৌসুমে তিনি ১২ বিঘা জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছেন। প্রতি বিঘা জমিতে কপিচাষে খরচ হয়েছে ৩০-৩৫ হাজার টাকা। খরচ বাদ দিয়ে তার প্রতিবিঘা জমিতে গড়ে ৩৫ হাজার টাকা করে লাভ হচ্ছে বলে জানান তিনি। অপর কৃষক আবুল কালাম আজাদ বলেন, তিনি ৩৬ শতাংশ জমিতে বাঁধাকপি চাষ করেছিলেন। খরচ হয়েছিলো ৩০ হাজার টাকা। বিক্রি করেছেন ৮৫ হাজার টাকায়। একই এলাকার বাঁধাকপি চাষকরা কৃষক লালন হোসেন বলেন, দেড়বিঘা বাঁধাকপি বিক্রি করেছেন ১ লক্ষ ৬০ হাজার টাকায়। কৃষকদের বাঁধাকপি চাষে লাভ ভালো হওয়ায় আগামীতে গ্রীষ্মকালীন এ সবজির চাষ বৃদ্ধি পাবে বলে জানান কৃষকরা।


তবে ব্যবসায়ীরা বলছেন কপি নিয়ে ঢাকা যেতে পরিবহন খরচ বেড়ে হয়েছে ৩০-৪০ হাজার টাকা। ঢাকায় পাইকার বাজারে প্রতিপিস বাঁধাকপি বিক্রি হচ্ছে ৩০টাকা। বাঁধাকপির বর্তমান বাজার মুল্য কম হওয়ায় লাভের অংকও কমেছে বলে জানান হাবিল উদ্দিন নামে এক ব্যবসায়ী।


দৌলতপুর উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. কাইউম মিলন বলেন, মাঠপর্যায়ে চাষীদের পরামর্শ দিতে সব সময় কৃষকদের পাশে আছি, তাই তারা গ্রীষ্মকালীন সবজি চাষে লাভবান হচ্ছেন।


দৌলতপুর উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মো. নূরুল ইসলাম বলেন, এবছর দৌলতপুরে গ্রীষ্মকালীন বাঁধাকপির চাষ হয়েছে ৭০ হেক্টর জমিতে। কৃষকদের গ্রীষ্মকালীন কপি চাষে উদ্বুদ্ধকরন ও প্রণোদনা প্রদানসহ সব ধরনের সহযোগিতা দিচ্ছে কৃষি বিভাগ। ফলে প্রতিবছরই বাড়ছে এর পরিধি।


সবজির উৎপাদন বাড়লে দেশের মিটবে সবজির চাহিদা। তাই সবজি চাষে কৃষকদের প্রণোদনার পাশাপাশি সার্বিক সহযোগিতা দিলে কমবে আমদানি নির্ভরতা।


বিবার্তা/শরীফুল/এসএস


সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com