
ইন্দুরকানীতে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের অধীনে প্রায় ৩০ কোটি টাকার ২৫টি প্রকল্পের কাজ শুরু করে ফেলে রাখা হয়েছে।
এর মধ্যে রাস্তা, গার্ডারব্রিজ, সাইক্লোন শেন্টার, ড্রেন নির্মাণসহ বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ। অফিসের সহায়তায় কাজের অধিকাংশ টাকা তুলে নিয়েছে। এই কাজগুলোর বেশিরভাগ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মালিক হলেন পিরোজপুর ২ আসনের এমপি মহিউদ্দন মহারাজ, তার ভাই ভান্ডারিয়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মিরাজ হোসেন ও জেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়ার নেতাদের নামে রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে কাজ শেষ করার আগেই বিভিন্ন কাজের অধিকাংশ টাকা তুলে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া যায়। অধিঅংশ কাজের মেয়াদ ৪/৫ বছর আগেই শেষ হয়েছে।
৫ আগস্ট সরকার পটপরিবর্তনের পরে তারা নিরুদ্দেশ হয়ে পড়েন। ফলে উপজেলার সকল কাজগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। কাজগুলো না হওয়ায় চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে সাধারণ মানুষ। এ ব্যাপারে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিপ্তরের কাছে জানালে তার কোন সঠিক তথ্য দিতে পারছেন না।
জানা যায়, বিগত ৫ বছর আগে ইন্দুরকানী সদর বাজার উন্নয়নের টেন্ডার হলে ও এখন পয়র্ন্ত ১৫% কাজ সম্পূর্ণ হয় নাই। অসম্পূর্ণ কাজগুলোও ফেলে রাখা হয়েছে।
এছাড়া বৃহস্পতিবার সরেজমিনে দেখা যায়, উপজেলা সদর থেকে সাঈদখালী ২কি. মি., মধ্য কালাইয়া রোড থেকে সরদারবড়ী পর্যন্ত ১ কিলোমিটার, পত্তাশী ইউপি থেকে খেজুরতলা হাট পর্যন্ত ১ কিলোমিটার, চালনা ব্রীজ থেকে বৌডুবি পর্যন্ত ১.৫ কিমি, বালিপাড়া জোমাদ্দার হাট থেকে কাপালিবাড়ী পর্যন্ত ১ কিমি, চন্ডিপুর স্টীল ব্রীজ থেকে খোলপটুয়া পর্যন্ত ১.৫ কিমি, বালিপাড়া হাইস্কুল থেকে সোবাহান চেয়ারম্যান এর বাড়ী পর্যন্ত ১ কিমি, পাড়েরহাট বাসস্টান্ড থেকে হোগলাবুনিয়া ১ কিমি, চাড়াখালী কেন্দ্রীয় মসজিদ থেকে কলেজ মোড় পর্যন্ত ১ কিমি. রাস্তার নির্মাণকাজ ফেলে ঠিকাদার লাপাত্তা রয়েছে। নাই তাদের তদারকির কোন প্রতিনিধিও। কাজ ফেলে রাখার কারণে এই সকল রাস্তা সংলগ্ন ব্রীজ ও কালভার্ড এর কাজ ফেলে রাখা হয়েছে। যার ফলে উপজেলা সদর সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলো যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পরেছে। বর্ষার মৌসুমে রাস্তাগুলোতে পানি জমাট হয়ে চলাচলে অনুপোযোগী।
অফিস সূত্রে জানা যায়, এই রাস্তাগুলোর অধিকাংশ টেন্ডারই ইএফটি-ইটিসিএল সরদার এন্টার প্রাইজ ও ইউনুস এ্যান্ড ব্রাদার্স নিয়েছে। বিগত সরকার পতনের পরে ঠিকাদারও এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। এছাড়াও ইএফটি-ইটিসিএল এর লাইসেন্সে ৮টি কার্পেটিং রাস্তার কাজ ২০১৯ সালে শেষ হবার কথা থাকলেও রাস্তাগুলো পরিত্যক্ত রয়েছে।
এ বিষয়ে ইন্দুরকানী উপজেলা প্রকৌশলী লায়লা মিথুন জানান, ইএফটি-ইটিসিএল প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় অনেকগুলো কাজ বাকি রয়েছে। তবে কিছু প্রকল্পরে কাজের টাকা উত্তোলন করা হয়। এ সকল কাজগুলো তদন্ত চলছে বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেও জানানো হয়েছে। আশা করি খুব শীঘ্রই কাজ শুরু হবে।
বিবার্তা/শামীম/এসএস
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]