
দেশের উত্তরের জেলা দিনাজপুর। এখান থেকে হিমালয় পর্বত নিকটে হওয়ায় এই জেলায় শীতের তীব্রতা একটু বেশি। এই জেলার হাকিমপুর হিলিতে শীতের শুরু থেকে উষ্ণ কাপড় কম্বলসহ শীতবস্ত্রের কদর বেড়েছে।
প্রতিবছর শীত মৌসুমে উষ্ণ কাপড় কম্বলসহ এসব শীতবস্ত্রের কদর বাড়ে। এবারও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। চলতি শীত মৌসুম শুরুর পর অগ্রহায়ণ মাস থেকে বাড়তে থাকে এসব শীত বস্ত্রের চাহিদা।
স্থানীয়রা ছাড়াও দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে ক্রেতারা এসে হিলি থেকে কম্বল, সাল চাদর, মেয়েদের বিভিন্ন পোশাক কিনে নিয়ে যাচ্ছেন।
ক্রেতারা বলছেন, হিলিতে কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্রের দাম কম হওয়ার কারণে শীতবস্ত্র কিনতে আসেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, কম্বলসহ শীতবস্ত্রের ব্যবসা এক প্রকার মৌসুমি ব্যবসা। এই সময়ে শীতবস্ত্রের চাহিদা বাড়ায় বিক্রি বেশ ভালো হয়। বাহিরের ক্রেতাদের আগমন অন্য দিনের তুলনায় ছুটির দিন শুক্রবার বিকেলে এবং শনিবারে বেশি।
সোমবার (৯ ডিসেম্বর) হিলি বাজার ঘুরে ক্রেতা-বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।
গাইবান্ধার সাঘাটা থেকে হিলিতে শীতের উষ্ণ কাপড় কম্বল কিনতে আসা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, প্রতি বছর শীত মৌসুমে উত্তর জনপদে শীতের তীব্রতা বাড়ে। এবারেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। অলরেডি আমাদের এলাকায় শীতের তীব্রতা দেখা দিয়েছে। তাই শীতের উষ্ণ কাপড় সাল চাদর, কম্বল কিনতে এসেছি। হিলিতে কম্বলের দাম গাইবান্ধার চেয়ে তুলনামুলক কম এবং মানেও ভালো তাই কম্বল ও সাল চাদর কিনতে আসা। এ দোকান, সে দোকান ঘুরে ঘুরে দেখছি। পছন্দ হলে কিনবো।
তিনি বলেন, এখানে যে সিঙ্গেল কম্বল বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার ৮০০ থেকে ৩ হাজার ২০০ টাকায়। সেই কম্বল আমাদের ওখানে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা নিচে পাওয়া যাবে না। অন্য দিকে সাল চাদর ২ হাজার ৫'শ থেকে ২ হাজার ৮'শ টাকা বিক্রি হচ্ছে সেগুলো আমাদের গাইবান্ধা জেলা সদরে চার হাজার টাকার নিচে পাওয়া যাবে না।
বগুড়া থেকে আসা আব্দুর রউফ বলেন, আমি পরিবার নিয়ে শীতের জন্য সিএনজিচালিত অটো ভাড়া নিয়ে হিলিতে এসেছি। বগুড়ার চেয়ে হিলিতে কম্বলসহ ছেলে-মেয়েদের জন্য তৈরী শীতবস্ত্র কিনতে এসেছি। পছন্দ ও দামে মিললে পরিবারের সবার জন্য শীতের উষ্ণ কাপড় কেনার ইচ্ছে আছে।
আব্দুর রউফ আরও বলেন, হিলিতে ডাবল কম্বলের দাম যাচ্ছে ৪ হাজার ৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা। বগুড়ায় এই কম্বল ৬ হাজার টাকার নিচে মিলবে না। এছাড়া ছেলে-মেয়েদের তৈরী শীতবস্ত্রের দামও তুলনামুলক কম।
হিলি বাজারের লাবণ্য ফ্যাশান হাউজ এর মালিক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রতিবছর শীতের সময় দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে কম্বলসহ অন্যান্য শীতবস্ত্র কিনতে হিলিতে আসেন। আমরা কম দামে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করার চেষ্টা করি। যদিও লাভ একটু কম হয়। তারপর যেহেতু ক্রেতারা দূর থেকে আসেন। তাই একটু কম লাভে বিক্রি করি। তিনি আরও বলেন, প্রতিটি কম্বলে ১০০ থেকে ১৫০ টাকা লাভ রেখে বিক্রি করছি। আর অন্য জায়গায় কিনতে গেলে প্রতিটি কম্বলে কমপক্ষে ৫০০ টাকা বেশি দিয়ে কিনতে হবে। তাই ক্রেতারাও হিলিতে আসেন কম্বলসহ শীতবস্ত্র কিনতে।
বিবার্তা/রববানী/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]