
কুষ্টিয়ার কুমারখালীর পদ্মা নদীতে নিখোঁজ অপর পুলিশ সদস্য মুকুল হোসেনের মরদেহ দু’দিন পর পাবনা জেলার সুজানগর উপজেলার মোহনপুর এলাকার পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল।
৩০ অক্টোবর, বুধবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এনিয়ে নিখোঁজ দুই পুলিশ সদস্যের মরদেহ উদ্ধার হয়েছে।
কুমারখালী থানার ওসি নজরুল ইসলাম এএসআই মুকুল হোসেনের মরদেহ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, পদ্মা নদীতে ভাসমান অবস্থায় মুকুল হোসেনের মরদেহ দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ডুবুরি দল তার মরদেহ উদ্ধার করে।
এরআগে গতকাল মঙ্গলবার বিকেল ৩টার দিকে এএসআই সদরুল হাসানের মরদেহ উদ্ধার করেছে ডুবুরি দল।
সোমবার ভোরে একটি নৌকায় স্থানীয় দুই ইউপি সদস্য ছানোয়ার হোসেন ও আনোয়ার কুমারখালী থানার ৬জন পুলিশকে নিয়ে কুমারখালীর উপজেলার বেড়কালোয়া এলাকায় পদ্মা নদীতে যান। এসময় অবৈধভাবে জাল ফেলে মাছ শিকার করছিল জেলেরা। পুলিশের নৌকাটি জেলেদের দিকে এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা তাদের উপর হামলা চালিয়ে মারধর করে। হামলায় নৌকায় থাকা কুমারখালী থানার এএসআই সদরুল হাসান ও এএসআই মুকুল হোসেন নদীতে ঝাঁপ দেয়। এরপর থেকে তারা নিখোঁজ থাকেন। হামলায় আহত হোন এসআই নজরুল ইসলাম ও কয়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ছানোয়ার হোসেন।
ইলিশ শিকারে নিষেধাজ্ঞা চললেও পদ্মা নদীতে প্রতিনিয়তই অবৈধভাবে মাছ শিকার করছে জেলেরা। সোমবার ভোরে স্থানীয় ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় ৬জন পুলিশ নৌকা নিয়ে পদ্মা নদীতে যায়। এ সময় তারা অভিযানের নামে জেলেদের মাছ লুটে নেওয়ার চেষ্টা করলে ক্ষিপ্ত হয়ে জেলেরা তাদের উপর হামলা চালায় বলে স্থানীয়রা জানায়।
উদ্ধার হওয়া দু’জনের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
বিবার্তা/শরীফুল/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]