
কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ১০জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
১৪ অক্টোবর, সোমবার সকালে উপজেলার দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের দৌলতখালী গ্রামে কয়েক দফা সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে স্থানীয় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দৌলতপুর ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব দৌলতখালী গ্রামের জাহিদ হোসেন ও বিএনপি নেতা জিন্নাত আলী জিন্নাহর সাথে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে আজ সোমবার সকাল ৮টার দিকে দৌলতখালী শওকত মোড়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ বাঁধে। সংঘর্ষ চলাকালে দুই গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে একে অপরকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ায় লিপ্ত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষে কাওছার আলী, কামরুল, জিন্নাহ ও জাহিদ হোসেনসহ উভয়পক্ষের অন্তত ৭ জন আহত হয়।
এ ঘটনার জের ধরে দৌলতখালী গোডাউনবাজারে নিজ চেম্বারে কর্মরত অবস্থায় পল্লী চিকিৎসক মন্টু ডাক্তারের ওপর হামলা চালায় ইউনিয়ন যুবদলের সদস্য সচিব জাহিদ হোসেনের লোকজন। এসময় তাকে ধারালো ছুরি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে।
হামলার ঘটনার কিছুক্ষণপর সকাল ১০টার দিকে দৌলতখালী গোডাউনবাজার এলাকার আজমত আলী সর্দার ও তার ছেলে সাগর হোসেন মোটরসাইকেল যোগে দৌলতখালী সর্দারপাড়ায় যাওয়ার পথে দৌলতখালী মাদ্রাসামোড়ে তাদের ওপর হামলা চালায় জিন্নাত আলী জিন্নার লোকজন। হামলাকারীরা আজমত সর্দার ও তার ছেলে সাগরকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।
গুরুতর আহত আজমত সর্দার (৫৫) ও তার ছেলে সাগর হোসেন (২৫) এবং পল্লী চিকিৎসক মন্টু ডাক্তার (৫২) কে উদ্ধার করে প্রথমে দৌলতপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাদের কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করে কর্তব্যরত চিকিৎসক। এ ঘটনার পর দৌলতখালী গ্রামে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোনো সময় বড় ধরনের সংঘর্ষের আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী।
সংঘর্ষের বিষয়ে দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহবুবুর রহমান জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দৌলতখালী গ্রামে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়েছে। সংঘর্ষে বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেছে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাতে দৌলতপুরখালী পূর্বপাড়া গ্রামের মসজিদ ও কবরস্থানের কমিটি বাতিল এবং টাকা রাখা নিয়ে স্থানীয় বিএনপির দু’গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ৮ জন আহত হয়। এ ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই আবারও বিএনপি দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলো।
বিবার্তা/শরীফুল/এনএইচ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]