
খুলনার পাইকগাছা উপজেলায় বেড়িবাঁধ ভেঙে ১৩টি গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন প্রায় ১৫ হাজার মানুষ। তলিয়ে গেছে চিংড়ি ঘের ও ফসলি জমি।
শুক্রবার (২৩ আগস্ট) দেলুটি ইউনিয়নের কালীনগরে গিয়ে এমন চিত্র দেখা যায়।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার দুপুরে জোয়ারের সময় কালীনগর গ্রামে প্রায় ৩০ মিটার বেড়িবাঁধ ভেঙে যায়। এরপর বিকেল থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এবং শুক্রবার ভোর থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত বিকল্প বেড়িবাঁধ তৈরি করা হয়। কিন্তু পুরো কাজ শেষ হওয়ার আগেই জোয়ার শুরু হওয়ায় আবারও গ্রামে পানি ঢুকে পড়ে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম জানান, পূর্ণিমার কারণে উপকূলীয় এলাকার নদীতে জোয়ারের পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের চেয়ে ২থেকে ৩ ফুট বেড়েছে। সে কারণে দাকোপ, কয়রা, পাইকগাছা ও বটিয়াঘাটার কয়েকটি স্থানে বেড়িবাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। সেগুলোও দ্রুত মেরামত কাজ শুরু করা হচ্ছে। আগামী ২-৩ দিন জোয়ারের পানির উচ্চতা বেশি থাকবে।
দেলুটি ইউপি চেয়ারম্যান রিপন কুমার মণ্ডল জানান, বেড়িবাঁধ ভেঙে কালীনগর, দারুল মল্লিক, হরিণখোলা, সৈয়দখালি, সেনেরবেড়, গোপীপাগলা, খেজুরতলা, তেলিখালী, হাটবাড়ী, ফুলবাড়ী, বিগরদানা, দুর্গাপুর ও নোয়াই গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। এতে গ্রামগুলোর প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। গ্রামবাসী বিকল্প বেড়িবাঁধ তৈরির কাজ করছিল, কিন্তু শেষ হওয়ার আগে দুপুরের জোয়ারে আবারও পানি ঢুকেছে।
পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মাহেরা নাজনিন জানান, যে স্থানে বেড়িবাঁধ ভেঙেছে ওই জায়গা ঘূর্ণিঝড় রিমালের সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
বিবার্তা/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]