
খুলনায় আদালতের রায় উপেক্ষা করে জমি জবরদখলের প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার।
১৭ আগস্ট, শনিবার জেলার ডুমুরিয়ার চক আসন খালি মৌজায় এ বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়।
ভুক্তোভুগীরা জানান, খুলনা জেলার ডুমুরিয়া থানা চক আসন খালি মৌজা সিএস ও এসএআরএস খতিয়ান নাম্বার পর্যায়ক্রমে ১৭৮, ২৪৯, ৬৯৭ যার দাগ নাম্বার এস এস ৭৮৭ আরএস দাগ নাম্বার ৩০৪৪ জমির পরিমাণ ৪৮৪ শতক মালিক মনসুর শেখ। জমির পক্ষে তিন তিনটি রায় হয় মনসুর শেখের। খাজনা দাখিলা রায় রেকর্ড সব আছে। কিন্তু রেকর্ড এর জন্য আবু বকার ও আবুল হোসেন আবেদন করেন খুলনা ল্যান্ড সার্ভে ট্রাইব্যুনালে। চলতি মাসের ১১ আগস্ট উক্ত আবেদন খারিজ করে দেয় আদালত। মামলা নং ৮৪২ /১৫। আমাদের পক্ষে রায় আসে। মামলাটির নিষ্পত্তি করে দেওয়া হয়। জমির মালিক মনসুর শেখের পাওয়ার অফ এটর্নী হিসেবে সাইফুল ইসলাম মামলায় রায়ে জেতেন। সাইফুল ইসলাম সে জমি ৮০ জনের কাছে বিক্রি করেন। রায়ে জেতার পর জমিতে গাছ লাগাতে গেলে আবু বকার ও আবুল হোসেনের লোকজন কেয়ারটেকারকে মারধোর করে ও সাইনবোর্ড পুড়িয়ে দেয়। আদালতের রায় অমান্য করে জোরপূর্বক জমি দখলের চেষ্টা করছে আবু বকার ও আবুল হোসেন। প্রতিপক্ষ যাতে রায় প্রাপ্ত সম্পত্তিতে বেআইনী ভাবে অনুপ্রবেশ করে শান্তিপূর্ণ ভোগ দখলে বাধা সৃষ্টি করতে না পারে তার জন্য পাওয়ার অফ এটর্নী সাইফুল ইসলাম সেনাবাহিনী ও থানায় লিখিত আবেদন করেছেন। ঘটনা সুষ্ঠ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করেছেন তিনি। থানা পুলিশ তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নিবেন বলে আশ্বাস্থ করেছেন।
বিক্ষোভে অংশ নেন জমির মালিক সেনা সদস্য আকবার হোসেন, মো. নওশের আলী মোল্লা, মো. আবু হাসান, জিএম রায়হান, আসমা আহমেদ, মো. চুন্নু মিয়া, সমির হালদার, শঙ্কর রায়, চিঞ্জয় চক্রবর্তী, মো. শহিদুল ইসলামসহ প্রায় অর্ধশত নারী-পুরুষ।
এ বিষয়ে আবুল হোসেন বলেন, জমির সাইনবোর্ড আমি পুড়াইনি। কারা পুড়িয়েছে সেটা জানিনা। সাইফুলের সাথে আমার কথা হয়েছে। এ ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছি। আমাদের সিএস রয়েছে আর সাইফুলের আরএস রয়েছে। সম্পদ নিয়ে কবরে যাওয়া যাবে না। জমির সমাধানের জন্য সাইফুলের সাথে একসাথে বসতে চেয়েছি।
বিবার্তা/তুরান/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]