
চুয়াডাঙ্গায় চারটি সোনার বারসহ দুই পাচারকারীকে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের সদস্যরা।
৩১ জুলাই, বুধবার দুপুর ১টার দিকে জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন-দর্শনা পৌর এলাকার শ্যামপুরের মোহা. রেজাউল হক ও ইসরাফিল হোসেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) নাজিম উদ্দীন আল আজাদ।
ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, নিয়মিত টহলের অংশ হিসেবে ডিবি পুলিশের একটি টিম জেলার দর্শনার দিকে আসছিল।পথিমধ্যে দামুড়হুদার জয়রামপুর নামক স্থানে ডিবি পুলিশের সদস্যরা সন্দেহজনক দুজন আরোহীসহ একটি মোটরসাইকেলকে গতিরোধ করার চেষ্টা করে।
ডিবি পুলিশের গাড়ি দেখে ওই মোটরসাইকেলের চালক তার গাড়ির গতি বাড়িয়ে দেয়। কিছু দূর গিয়ে মোটরসাইকেল চালকের সাথে থাকা আরোহী নিজের শার্ট খুলে ফিল্মি স্টাইলে গাড়ির কাঁচের সামনে ফেলে ডিবির গাড়িটিকে দুর্ঘটনায় ফেলার চেষ্টা করে দ্রুত পালানোর চেষ্টা করে।
প্রায় ৪ কিলোমিটার ধাওয়া করে ডিবি পুলিশের দলটি দর্শনা কাঁচাবাজারে এসে চোরাকারবারিদের গাড়ির গতিরোধ করতে সক্ষম হয়৷ এরপর বাজারের উপস্থিত জনতার সামনে মোটরসাইকেল চালক ইসরাফিলের দেহ তল্লাশি করে চারটি সোনার বার উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জানান, প্রতিটি সোনার বারের আনুমানিক ওজন ৫০০ গ্রাম হতে পারে। সেই অনুযায়ী চারটি সোনার বারের ওজন হতে পারে দুই কেজি। আমরা জেলা সদরে গিয়ে জুয়েলারির দোকানে ওজন দিয়ে এর মূল ওজন ও বাজার মূল্য জানাতে পারবো।
তিনি আরও বলেন, তাদের ব্যবহৃত মোটরসাইকেলটি জব্দ করা হয়েছে। আমরা ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে তাদের দুজনকে জিজ্ঞাসা করব। এরপর তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা দায়ের করা হবে। উদ্ধার করা সোনার বারগুলো ট্রেজারি অফিসে জমা দেয়া হবে।
বিবার্তা/আসিম/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]