কুষ্টিয়ায় কোটাবিরোধী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
ট্রেন ভাঙচুর ও ৮ বাইকে আগুন
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৪, ২৩:১৩
কুষ্টিয়ায় কোটাবিরোধী ও ছাত্রলীগের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া
কুষ্টিয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

কুষ্টিয়া শহরে কোটাবিরোধীদের সাথে ছাত্রলীগের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এসময় কোটাবিরোধীরা আটটি মোটরসাইকেল আগুন দেয়। ভাঙচুর চালায় একটি ট্রেনে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগের বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছে বলে তাদের দাবি।


ঘটনার সূত্রপাত বুধবার (১৭ জুলাই) বেলা সাড়ে ৩টার দিকে। ওই সময় কোটাবিরোধীরা জড়ো হয় কুষ্টিয়া শহরের মজমপুর গেটে। এক পর্যায়ে ছাত্রলীগের সাথে তাদের ধাওয়া পালটা ধাওয়া হয়। পরে কোটাবিরোধী আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা শহরের চৌড়হাস স্টেডিয়ামের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়। সেখান থেকে তারা কিছুটা সরে চৌড়হাস মোড়ে এসে সমাবেশ করে।


বিকাল পাঁচটার দিকে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা পুনরায় মোটরসাইকেল যোগে কোটাবিরোধীদের সমাবেশের দিকে এগিয়ে যায়। পুলিশ উভয় পক্ষকে নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থ হয়। এ সময় কোটাবিরোধীরা ধাওয়া দিলে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতা-কর্মী মোটরসাইকেল ফেলে পালিয়ে যায়। তাদের ফেলে যাওয়া সাতটি মোটরসাইকেলে আগুন লাগিয়ে দেয় কোটাবিরোধীরা। এ সময় তাদের সাথে স্থানীয় জামায়াত ও বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথেও যোগ দেন বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান।


পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে ফের ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা কোটাবিরোধীদের দিকে এগিয়ে যায়। তাদের ইট-পাটকেলে স্থানীয় দুই বাসিন্দা আহত হলে এলাকাবাসী ছাত্রলীগ নেতা কর্মীদের ধাওয়া দেয়। এ সময় ছাত্রলীগ নেতাদের ফেলে যাওয়া একটি মোটরসাইকেলে আগুন জ্বালিয়ে দেয় কোটাবিরোধীরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি গিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও তাদের বাধার মুখে ব্যর্থ হয়। সন্ধ্যা ৭টার দিকে কোটাবিরোধীরা মিছিল নিয়ে কুষ্টিয়া মজমপুর রেলগেট এলাকায় জড়ো হয়। এ সময় রাজবাড়ী থেকে পোড়াদহগামী শাটল ট্রেন মজমপুর গেটের কাছাকাছি আসলে তারা ট্রেন আটকে ভাঙচুর চালায়। তারা ট্রেনে পাথর ছুড়ে মারে এবং আগুন লাগানোর চেষ্টা করে। এতে ট্রেনের বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। এ পর্যায়ে পুলিশ অ্যাকশনে যায়। তারা ব্যাপক লাঠিচার্জ করে কোটাবিরোধীদের ছত্রভঙ্গ করে দিলে তারা রেললাইনের পাথর ছুড়ে আক্রমণ চালায় পুলিশের উপর। এ সময় পুলিশ ফাঁকা গুলি করলে কোটাবিরোধীরা পালিয়ে যায়।


কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পলাশ কান্তিনাথ জানান, পুলিশ বিকেল থেকে অনেক ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে। কিন্তু কোটাবিরোধীরা শেষ পর্যন্ত সব মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। তারা ট্রেন আটকে তাতে ভাঙচুর চালায়। পাথর ছুড়ে মেরে যাত্রীদের আহত করেন। তিনি বলেন, সরকারি সম্পদ বিনষ্ট করার অধিকার কারো নেই। এ কারণে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ লাঠিচার্জের পাশাপাশি ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এখন পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে।


বিবার্তা/শরীফুল/রোমেল

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com