
কক্সবাজারে অল্প বৃষ্টি হলেই সৃষ্টি হচ্ছে জলাবদ্ধতা। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়ছেন জনসাধারণ। এর অন্যতম কারণ অবৈধভাবে নালা-নর্দমা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ। এদিকে এসব অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযানে নেমেছে পৌরসভা। ধারাবাহিক অভিযানের প্রথম দিনে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ১০ স্থাপনা। এই অভিযান অব্যাহত রাখার দাবি জনগণের।
কক্সবাজারে ক’দিনের টানা বৃষ্টিতে দেখা দিয়েছে স্মরণকালের ভয়াবহ জলাবদ্ধতা। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা থাকার পরেও এমন পরিস্থিতির জন্য নালা-নর্দমা দখলবাজদের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে ভুক্তভোগী শহরবাসী। শহরের পানি নিষ্কাশনের যে কয়টি নালা রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম হল শহরের শহিদ স্মরণীর পশ্চিমের নালা। এই নালার শুরুর অংশ রয়েছে পৌরসভার ৩টি ওয়ার্ড জুড়ে। পানি নিষ্কাশনের বড় মাধ্যম ওই নালাটিও বাদ যায়নি নালা-নর্দমা দখলবাজদের হাত থেকে।
পৌরসভা উচ্ছেদ অভিযানে নেমে প্রথম দিনেই শহিদ স্মরণির সেই গুরুত্বপূর্ণ নালা দখলমুক্ত করতে জেলা সরকারি গণগ্রন্থাগারের দুইটি দেয়াল ভেঙে দিয়েছে। বাকি অংশ নিজ দায়িত্বে ভেঙে ফেলার জন্য সময় দিয়েছে। পরে শহরের নুনিয়ারছড়ার কানাইয়াবাজারের পার্শ্ববর্তী এলাকায় অভিযান চালিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে নালার উপর নির্মিত ১০টি স্থাপনার অংশ। দেরিতে শুরু হলেও এই অভিযানকে স্বাগত জানিয়েছে শহরবাসী।
কক্সবাজার শহরের সচেতন যুবক এইচ এম নজরুল জানান, দেরিতে শুরু করলেও পৌরসভার এই অভিযানকে স্বাগত জানাই। তবে প্রশ্ন হলো এই অভিযান বন্ধ হয়ে যাবে কিনা? যতদিন নালা-নর্দমা দখলমুক্ত হচ্ছে ততদিন যেন অভিযান অব্যাহত থাকে।
মোহাম্মদ সুমন নামে আরেক যুবক জানান, এই অভিযানে পৌরসভাকে সকলের সহযোগিতা করা দরকার। যাতে করে পানি নিষ্কাশনের মাধ্যম নালাগুলো দখলমুক্ত হয়। পর্যটন নগরী যেন জলাবদ্ধমুক্ত শহরে পরিণত হয়।
কক্সবাজার পৌরসভার কাউন্সিলর নাছিমা আক্তার বকুল বলেন, নালা দখলবাজদের কারণে আজ শহরে জলাবদ্ধতা। দখলবাজ যতই প্রভাবশালী হউক না কেন পৌরসভার পক্ষ থেকে অবৈধ স্থাপনা গুড়িয়ে দিয়ে দখলমুক্ত করা হচ্ছে নালা। আগে থেকে পরিকল্পনা করে করলে আজ এতদিন পরে এসে এসব ভাঙ্গতে হত না। এর জন্য ঠিকাদারেরাও দায়ী।
শহরের প্রতিটি নালা-নর্দমা দখলমুক্ত না হওয়া পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত রাখা হবে বলে জানান পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী। তিনি বলেন, শহরে গুরুত্বপূর্ণ মোট ৫টি নালা রয়েছে। এই নালা দখলকারী হিসেবে জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটের নেতৃত্বে গত কয়েক বছর আগে একটি তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ওই তালিকা ধরেই অভিযান চলছে। নালা আগের অবস্থানে না ফেরা পর্যন্ত অভিযান অব্যাহত থাকবে।
নালা-নর্দমা দখলবাজদের বিরুদ্ধে এই উচ্ছেদ অভিযান যেন লোক দেখানো না হয়। শহরবাসীর প্রত্যাশা এই ধারাবাহিক অভিযানের মধ্য দিয়ে জলাবদ্ধতা থেকে মুক্তি পাবে পর্যটন নগরী।
বিবার্তা/ফরহাদ/এসবি
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]