
সাভারে মহিষ পালনে ঝুঁকছে অনেক খামারি। বর্তমানে বাজারে মহিষের মাংসের চাহিদা বেশি থাকায় এবং মহিষ পালনে রোগ-বালাইয়ের ঝুঁকি কম থাকায় লাভজনক ব্যবসা হিসেবে দেখছেন খামারিরা।
আশুলিয়ার শ্রীপুরে এরকম একটি খামার মাত্র ২ বছরে বৃহৎ মহিষের খামারে পরিণত হয়েছে। ঈদ উপলক্ষ্যে এখানে চলছে এখন মহিষ বেচাকেনা।
আশুলিয়ার শ্রীপুরে ৫ বছর আগে মাত্র ২০টি গরু নিয়ে পৈত্রিক বাড়ির পাশে এক যুবক শুরু করেন ‘কাইয়ুম এগ্রো’ নামের একটি গরুর খামার। ৩ বছর পর তিনি শখ করে ৫টি উন্নত জাতের মহিষ পালন শুরু করেন। মহিষ পালন করতে গিয়ে তিনি বুঝতে পারেন মহিষের রোগ-বালাই খুব কম এবং স্থানীয়ভাবে মাংসের চাহিদা খুব বেশি।
তার পরপরই তিনি ভারতের সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের হাট থেকে ইন্ডিয়ান জাফরাবাদসহ বেশ কিছু উন্নত জাতের মহিষ এনে পালন শুরু করেন। বর্তমানে তার খামারে মহিষের সংখ্যা ২০০ এবং গরুর সংখ্যা ১০০ এর উপরে।
তিনি জানান, মহিষ গরুর চেয়ে বেশি খাবার খায় বলেই এর শারীরিক বৃদ্ধি গরুর চেয়ে অনেক বেশি হয়। তাই মহিষ পালন অনেক লাভজনক।
খামার মালিক আব্দুল কাইয়ুমের দাবি তার খামারটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মধ্যে সর্ববৃহৎ মহিষের খামার। আর এবারের তার খামারে থাকা ‘পাঠান’ যার ওজন ১৩ শ’ ৩০ কেজি সেটি বাংলাদেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় মহিষ।
আশুলিয়া এলাকার অনেকের পছন্দ এই খামারের মহিষ। তারা জানান পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে পালন করায় কোরবানির পশু হিসেবে তাদের পছন্দ কাইয়ুম এগ্রোর মহিষ এবং গরু।
বিবার্তা/শরিফুল/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]