
রংপুরের গঙ্গাচড়ায় মাদ্রাসার সুপার ও অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারকে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে মাদ্রাসার শিক্ষক-শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও এলাকাবাসী।
৫ জুন, বুধবার উপজেলার নোহালী ইউনিয়নের কচুয়া আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার মাঠে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা।
মানববন্ধনকারীরা জানান, কচুয়া আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসার বিগত কমিটিতে এলাকার নুরুজ্জামান প্রামানিক শামীম, আব্দুল কুদ্দুস, বারাক আলা প্রামানিক ও নুর আলম বিভিন্ন পদে অধিষ্ঠ ছিল। তারা কমিটিতে থাকার সময় বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতি করায় ওই মাদ্রাসার এডহক কমিটি পুনরায় নির্বাচনে আহ্বান করলে তারা ক্ষিপ্ত হয়।
পরে ৩ জুন, সোমবার মাদ্রাসায় গিয়ে সুপারের অফিস কক্ষে ঢুকে সুপারকে গালিগালাজসহ মারপিট করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে তারা। এসময় মাদ্রাসা পরিদর্শনে আসা অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারকেও তারা গালিগালাজ করে।
অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার আমজাদ হোসেন বলেন, আমি মাদ্রাসা পরিদর্শনে গিয়ে সুপারের কক্ষে বসে পরিদর্শন কার্যক্রম বিষয়ক কথা বলছিলাম। এ সময় তারা আমাকে গালিগালাজ করে।
মাদ্রাসার সুপার মা. ছাইফুল ইসলাম বলেন, তারা আমাকে ও অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারকে প্রথমে ভয়ভীতি দেখিয়ে গালিগালাজ করে। অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজার তাদের গালিগালাজের কারণে চলে যাওয়ার পর তারা আবার আমাকে মারপিট ও আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।এতে প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয় এবং তারা আমাকে হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়।
এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মাদ্রাসা সুপার আইনের আশ্রয় নিবেন বলে জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত নুরুজ্জামান প্রামানিক শামীম ও আব্দুল কুদ্দুসকে জিজ্ঞেস করা হলে তারা জানান, সুপারের সঙ্গে তর্ক-বিতর্ক ছাড়া কোন লাঞ্ছিত বা মারপিটের ঘটনা ঘটেনি।
মানববন্ধন এ অংশ নেয়া শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সুপার ও অ্যাকাডেমিক সুপারভাইজারকে লাঞ্ছিতকারীদের আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানান।
বিবার্তা/নাহিদ/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]