ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ
প্রকাশ : ২৭ মে ২০২৪, ১৭:০৮
ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে আশুগঞ্জ নৌবন্দরে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ
ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধের পাশাপাশি বন্ধ রয়েছে পণ্য লোড-আনলোড কার্যক্রমও। তবে ঝড়বৃষ্টিতে এখনও পর্যন্ত জেলার কোথাও কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।


২৭ মে, সোমবার সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়ার সঙ্গে জেলার বিভিন্ন স্থানে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এর ফলে তিতাস ও মেঘনার পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।


সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১শ’ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহবুব আলম।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে সোমবার সকাল থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। সেই সঙ্গে বইছে ঝড়ো হাওয়া। এতে করে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার তিতাস ও মেঘনা নদীতে পানি বেড়েছে। গত দুইদিনে তিতাসের পানি বেড়েছে দশমিক ৩৫ মিটার এবং মেঘনার পানি বেড়েছে দশমিক ৮৬ মিটার। তবে এখনও নদীর পানি বিপৎসীমার নীচ দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই বলে জানিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড।


এছাড়া বৃষ্টির কারণে জেলা শহরে মানুষের চলাচল স্বাভাবিকের চেয়ে কমেছে। পাশাপাশি দুর্ভোগে পড়েছেন শ্রমজীবী মানুষজন।


এদিকে, ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রোববার (২৬ মে) থেকে আশুগঞ্জ নৌবন্দর থেকে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের নৌযান চলাচল। এছাড়া বন্দরে নোঙর করে থাকা পণ্যবাহী জাহাজগুলো থেকে পণ্য লোড-আনলোড বন্ধ রয়েছে।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনজুর রহমান জানান, বৃষ্টির কারণে নদীগুলোতে পানি বাড়ছে। সোমবার দুপুর ১২টার দিকে তিতাস নদীর গোকর্ণঘাটে ১ দশমিক ৬৫ মিটার এবং মেঘনা নদীর ভৈরববাজার পয়েন্টে ১ দশমিক ৮৮ মিটার পর্যন্ত পরিমাপ করা হয়েছে। তবে পানি এখনও বিপদসীমার অনেক নিচে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে কোনো নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভাবনা নেই।


ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো. মাহববু আলম বলেন, ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ঘূর্ণিঝড়ে তেমন ক্ষতি হওয়ার শঙ্কা নেই। তবুও জেলার সরাইল, নাসিরনগর, বাঞ্ছারামপুর ও বিজয়নগর উপজেলায় সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে প্রায় ১০০টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ঝড়ের তীব্রতা বাড়লে সম্ভাব্য ক্ষতিগ্রস্ত এলাকার বাসিন্দাদের আশ্রয় কেন্দ্রে নিয়ে আসা হবে।


বিবার্তা/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2024 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com