
পিরোজপুরের ইন্দুরকানীতে সুইচগেটের দুইপাশ ভেঙে যাওয়ায় শতাধিক পরিবার আতঙ্কে মুখে। এরই মধ্যে বিলীন হয়ে যায় তাদের ঘর বাড়ি, জমি, মাছের ঘের ও পুকুর এবং গাছপালা ইত্যাদি।
উপজেলার তিনদিকে নদী বেষ্টিত বলেশ্বর নদী ও চেয়ারম্যান বাড়ির সংলগ্ন খালের মুখে সুইচগেটটি থাকায় অতিরিক্ত জোয়ারে পানির স্রোতে একপাশ ভেঙ্গে যাওয়ায় শতাধিক ঘর বাড়িতে ছেলে মেয়েদের নিয়ে বসবাস করতে আতঙ্কে মধ্যে দিন কাটাতে হয়। কোন দুর্যোগ বা নদীতে স্বাভাবিক জোয়ারের অতিরিক্ত পানি বৃদ্ধি পেলেই এলাকায় প্লাবিত হয়ে যায়। কোন রক্ষণা-বেক্ষণ না থাকায় সুইচগেইটের দুইপাশ থেকে ভেঙ্গে খালে পরিণত হয়। সেখান থেকে জোয়ারের পানি ঢুকে ফসলি জমি, আমন ধানের ধানের বীজতলা প্লাবিত হচ্ছে এবং শীতকালীন রবি শষ্যের ক্ষেতগুলোও পানিতে তলিয়ে গিয়ে ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্থ।
সুইচগেটের পার্শ্ববর্তী ও ক্ষতিগ্রস্থ ভুক্তভোগি আ. হক মৃধা, নিজাম হাওলাদার, হেমায়েত সহ অনেকে জানান, এই সুইচগেটের কারণে আমরা অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছি। আমাদের ঘর বাড়ি, জমি, গাছপালা সব কিছু নদীতে চলে গেছে। এখন আমাদের ছেলেমেয়ে নিয়ে বসবাস করতে খুব কষ্ট হয়। কোন দুর্যোগের খবর শুনে বা জোয়ারের পানি বৃদ্ধি পেলে আতঙ্কে থাকতে হয় ।
সদর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ করিম তালুকদার ইমন জানান, সদর ইউনিয়নের দুইটি সুইচগেটের অবস্থা খুবই করুণ। সুইচগেটের পার্শ্ববর্তী ভাঙ্গনের কারণে এই এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি, কৃষি জমিসহ অনেক ক্ষয়ক্ষতি হয়। আমরা এমপির ডিউলেটার ও বার বার পানি উন্নয়ন বোর্ডে যোগাযোগ করেছি। সেখান থেকে কোন ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যায়নি। দুইদিন আগে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পরিদর্শন করেন এবং এ বিষয় লিখিতভাবে বিবরণ চেয়েছেন।
পিরোজপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী নুসাইর হোসেন জানান, আমাদের অফিসের স্টাফ গিয়ে পরিদর্শন করবে এবং তাদের রির্পোট অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, আমাকে সদর ইউপি চেয়ারম্যান এ বিষয় অবহিত করেছেন। পরিদর্শন করেছি, তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে আলোচনা করব। শীঘ্রই মেরামতের ব্যবস্থা করা হবে।
বিবার্তা/রেজা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]