
বান্দরবানের রুমার দুর্গম মুনলাই পাড়া এলাকায় সেনাবাহিনীর অভিযানে বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন কেএনএফের সশস্ত্র শাখা ‘কুকি-চিন ন্যাশনাল আর্মি’র (কেএনএ) এক সদস্য নিহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
২২ এপ্রিল, সোমবার দিবাগত রাতে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)।
এতে বলা হয়, অভিযানের সময় অস্ত্র, গোলাবারুদসহ অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী।
এর আগে রুমায় যৌথবাহিনী দিনভর অভিযান চালিয়ে কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে আরও ৪৯ জনকে আটক করে। তাদের মধ্যে ১৮ জন নারী।
এছাড়া অভিযানে আটদের কাছ থেকে ৭টি দেশি বন্দুক, ২০ রাউন্ড গুলি, কেএনএফের পোশাক, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত ল্যাপটপ, দুই জোড়া বুট, একটি ছুরি ও বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, পাহাড়ের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন- কেএনএফ তথা কেএনএ ২০২২ সালের অক্টোবরে সশস্ত্র তৎপরতার মাধ্যমে মাথা চাড়া দেয়। এরপর নানা তৎপরতার মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলকে ভয়ংকর করে তোলে কুকি সন্ত্রাসীরা। এমনকি কেএনএফ তাদের ঘাঁটিতে ভয়ংকর জঙ্গিদেরও সশস্ত্র প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে। এসব প্রেক্ষাপটে যৌথ বাহিনীর অভিযান শুরু হলে কেএনএফ প্রধান নাথান বমসহ অধিকাংশরা পিছু হটে আত্মগোপনে চলে যায়। পরবর্তীতে চলতি বছরের শুরুর দিক দুই দফায় সরকার তথা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় বসে স্বাভাবিক জীবনে ফেরার কথা বলেছিল তারা।
কিন্তু মুখে শান্তি আলোচনার কথা বললেও নেপথ্যে তারা গোপনে সংঘটিত হয়ে গত ২ এপ্রিল রাতে রুমার সোনালী ব্যাংকে শতাধিক কেএনএফ সদস্য অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা করে অস্ত্রের মুখে পুলিশ, আনসার সদস্যদের জিম্মি করে ১৪টি অস্ত্র লুট ও সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার নেজাম উদ্দিনকে অপহরণ করে। এ ঘটনার ১৭ ঘণ্টার মধ্যে ৩ এপ্রিল থানচিতে গুলিবর্ষণ এবং কৃষি ও সোনালী ব্যাংক থেকে ১৫ লাখ টাকা লুট ও ৪ এপ্রিল ফের থানচির সোনালী ব্যাংক ও বাজারে আক্রমণ করলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এইসব প্রেক্ষাপটে সম্প্রতি আবার বান্দরবান তথা পার্বত্য ওই অঞ্চলে যৌথবাহিনীর অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। গত শনিবার বান্দরবানে কেএনএফ সন্ত্রাসীদের গুলিতে একজন সেনা সদস্যও নিহত হয়েছেন।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]