চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
প্রকাশ : ০২ এপ্রিল ২০২৪, ১৪:৩৪
চুয়াডাঙ্গায় হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গায় ব্যবসায়ী নজির মিয়া ও তার স্ত্রী ফরিদা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড ও একজনকে ২ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসাথে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।


২ এপ্রিল, মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (২য়) আদালতের বিচারক মাসুদ আলী।


মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার আসাননগর গ্রামের ক্লাবপাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে সাহাবুল হক (৪২), একই গ্রামের শেখপাড়ার পিন্টু রহমানের ছেলে রাজিব হোসেন (২৫) ও মাঝেরপাড়ার মাসুদ আলীর ছেলে বিদ্যুৎ আলী (২৩)।


এছাড়া দুই বছর সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন একই গ্রামের স্কুলপাড়ার তাহাজ উদ্দীনের ছেলে শাকিল হোসেন (২৩)।


চুয়াডাঙ্গার অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালতের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।


আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর আলমডাঙ্গা পৌর শহরের পুরাতন বাজার পাড়ার বাড়ি থেকে বৃদ্ধ দম্পতি নজির মিয়া (৭০) ও ফরিদা বেগমের (৬০) হাত পা মুখ বাঁধা রক্তাক্ত মরদেহ উদ্ধার করা হয়।


এর পরদিন ওই বৃদ্ধ দম্পতির মেয়ে ডালিয়ারা পারভীন শিলা বাদী হয়ে অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর চারদিন পর হত্যাকারী সন্দেহে ওই চার আসামিকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পরে আসামীরা হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।


২০২৩ সালের ৩১ জানুয়ারি ওই চার আসামিকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট জমা দেন জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) শিহাব উদ্দীন।


চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়, বৃদ্ধ নজির আলী ছিলেন একজন বালু ব্যবসায়ী। আর আসামি সাহাবুল হক ছিলেন তার বড় ব্যবসায়ে চলিত যানের ড্রাইভার। ড্রাইভার হওয়ার সুবাদে ওই বৃদ্ধ দম্পতির বাড়িতে যাওয়া আসা ছিল ড্রাইভার সাহাবুলের।


এ সুযোগে ওই বাড়িতে কোথায় টাকা পয়সা থাকে তাও জানতো আসামি। পরিকল্পনা মাফিকা আসামীরা ওই দম্পতির বাড়ি থেকে নগদ টাকা লুট করতে বালু কেনার নাম করে বাড়িতে প্রবেশ করে। এসময় বৃদ্ধা ফরিদা বেগম বাধা দিলে তাকে প্রথমে শ্বাসরোধ এবং কুপিয়ে হত্যা করে এবং বৃদ্ধ নজির মিয়াকেও হত্যা করে আসামীরা। লুট করে নিয়ে যায় নগদ টাকা, স্বর্ণালংকার ও একটি মোবাইলফোন।


মামলায় মোট ১৯ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ এবং পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে বিচারক এ রায় ঘোষণা করেন।


মামলার রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী এপিপি অ্যাডভোকেট গিয়াস উদ্দিন জানান, এ ঘটনায় সরাসরি হত্যার সাথে জড়িত ৩ জনকেই মৃত্যুদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে এবং লুট করে নেয়া মোবাইল ফোনের ক্রেতাকে দুই বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেয়া হয়েছে। মামলার রায়ে বাদী পক্ষ সন্তুষ্ট।


আসামি পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মোখলেছুর রহমান বলেন, শুধুমাত্র জবানবন্দির ওপর ভিত্তি করেই মামলার কার্যক্রম পরিচালিত হয় এবং রায় ঘোষণা করা হয়। এ রায়ে বিবাদীরা সন্তুষ্ট নন। রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিলের প্রস্তুতি চলছে।


বিবার্তা/আসিম/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com