
মাগুরার শালিখায় বাসের সঙ্গে সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও পাঁচ জন আহত হয়েছেন। হতাহতরা সবাই অটোরিকশার যাত্রী।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাগুরা-যশোর সড়কের শতখালীর হাজামবাড়ি মোড়ে এ দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার নারকেল বাড়িয়া এলাকার মৃত কালিপদ শিকদারের ছেলে মধু শিকদার (৫৫), নিতাইদের স্ত্রী নিরুপমা রানী দে (৫০) ও নারায়ণ চন্দ্র দে’র স্ত্রী পুষ্পা রানী দে। এ ঘটনায় আহত ৫ জনকে মাগুরা ও যশোর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। নিহতদের সকলের বাড়ি যশোর জেলার বাঘারপাড়া থানার নারকেল বাড়িয়া এলাকায়।
শালিখা উপজেলার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন মাস্টার সঞ্জয় দেবনাথ বলেন, রাত পৌনে ১০টার দিকে দুর্ঘটনাটি ঘটে। আমরা ঘটনাস্থলে গেলে শুধু অটোরিকশাটি দেখতে পাই। ঘটনাস্থলে দুজন নারীর মরদেহ দেখতে পাই। মরদেহ মাগুরা সদর হাসপাতালে পাঠিয়ে দেই। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় একজনকে মাগুরা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে তিনি মারা যান।
ফায়ার সার্ভিস জানায়, ওই অটোরিকশা মাগুরা থেকে নারিকেলবাড়িয়ার দিকে এক সনাতন ধর্মের নামযজ্ঞের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিল। অটোরিকশায় মোট ১২ জন যাত্রী ছিলেন। পথিমধ্যে হাজামতলা মোড়ে পৌঁছালে দুর্ঘটনাটি ঘটে।
মাগুরা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক মো. মামুনুর রশিদ বলেন, হাসপাতালে দুর্ঘটনায় আহত একজনকে নিয়ে আসে। তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। তবে আহত কয়েকজন ভর্তি হয়েছে। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত।
নিহতদের এলাকা সংলগ্ন স্থানীয় সঞ্জয় কুমার নামে এক ব্যক্তি বলেন, নিহতরা সবাই নারিকেলবাড়িয়ায় এক ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন। কিন্তু পথে তিনজনের প্রাণ যায়। নিহতদের মধ্যে নিরুপমা রানী দে ও পুস্পা রানী পরস্পর একই পরিবারের দুই ভাইয়ের বউ।
শালিখা থানার ওসি তদন্ত গৌতম ঠাকুর বলেন, হতাহতরা সবাই মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলা সদরে একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান শেষে অটোরিকশায় বাড়ি ফিরছিলেন। পথিমধ্যে উপজেলার হাজামবাড়ী এলাকায় যশোরমুখী একটি বাসের সঙ্গে অটোরিকশাটির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই দুই নারীর মৃত্যু হয়। গুরুতর আহত মধু শিকদারকে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে গেলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মাগুরা হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ ওসি গৌতম চন্দ্র মন্ডল বলেন, হতাহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে।
এ ঘটনায় শালিখা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হরেকৃষ্ণ অধিকারী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]