
পিরোজপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের বিভাগীয় হিসাবরক্ষক মো. জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে একটি হেলিকপ্টার কেনার অভিযোগ উঠেছে। সড়ক বিভাগের একজন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তার আকাশযানের মালিকানা রয়েছে এমন খবরের সত্যতা যাচাইয়ের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
পিরোজপুর সড়ক বিভাগের বিভাগীয় হিসাব রক্ষক জাকির হোসেন একজন দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মকর্তা। পিরোজপুর সড়ক বিভাগে কর্মরত আছেন গত প্রায় ৬ বছর। চাকরির এখন প্রায় শেষ সময়ে তার সব মিলিয়ে মাসিক বেতন প্রায় ৬০ হাজার টাকা।
জাকির হোসেন বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে তার পরিবারের মালিকানায় হেলিকপ্টার থাকার। এতো অল্প টাকা বেতনে চাকরি করে কি করে তার আকাশ যান থাকতে পারে সে ব্যাপারে প্রশ্ন উঠেছে।
জাকির হোসেনের গ্রামের বাড়ি বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায়। জাকির হোসেনের স্ত্রী রত্মা সুলতানা, মেয়ে শারমীন সুলতানা, ছেলে মো. শাহরিয়ার হোসেন ও বোন লাইজু আফরীন। আর ছেলে খুলনায় পড়াশুনা করে।
দুদকের দেয়া তথ্য সূত্রে জানা গেছে, জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে খুলনাসহ বিভিন্ন স্থানে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ রয়েছে। জানা গেছে খুলনা শহরে তার একাধিক হাইরাইজ (বহুতল ভবন) বিল্ডিং সহ ও তার পরিবার বা আত্মীয়ের মালিকানায় উড়োজাহাজ রয়েছে। প্রাথমিকভাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত হতে তদন্ত করছেন দুদক। এজন্য গত ১৩ জানুয়ারি বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ(বেবিচক)কে চিঠি দিয়েছেন পিরোজপুর দুদকের তদন্তকারী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান।
তবে জাকির হোসেন তা অস্বীকার করে বলেন, যার নামে কোন গাড়িই নেই তিনি কি করে হেলিকপ্টার কিনবেন। এটা তার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চলছে।
সড়ক বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী তানভীর আহমেদ বলেছেন, ওই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়টি তিনি শুনেছেন। তিনি জানান, জাকিরের বিরুদ্ধে অর্থনৈতিক কোন অভিযোগ তার কাছে আসেনি। তবে ঘটনার সত্যতা পেলে নিয়ম অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এদিকে পিরোজপুর জেলা দুদকের উপ-পরিচালক শেখ গোলাম মাওলা বলেন, জাকির হোসেন বা তার পরিবারের কোন সদস্যের হেলিকপ্টারের মালিকানা রয়েছে কি না তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত হওয়া যাবে।
বিবার্তা/তাওহিদুল/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]