
গত চব্বিশ ঘণ্টার ব্যবধানে চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেলেও উত্তর থেকে ধেয়ে আসা হিম শীতল ঠান্ডা বাতাসে শীতের তীব্রতা বাড়িয়ে দিচ্ছে। এমন আবহাওয়ায় অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ ঘরের বাইরে বের হচ্ছে না।
চুয়াডাঙ্গার আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার, ১৯ জানুয়ারি সকাল ৬টায় ও ৯টায় জেলায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একই সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৪ ও ৯১ শতাংশ।
গতকাল বৃহস্পতিবার চুয়াডাঙ্গায় সকাল ৬টা ও ৯টায় ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। সে সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
তীব্র ঘন কুয়াশা কেটে গিয়ে আজ সকালে দেখা মিলেছে সূর্যের। কিন্তু উত্তাপহীন সূর্য কনকনে ঠান্ডা বাতাসের কাছে বড্ড অসহায়। ছুটির দিন হলেও সড়কে কমেছে মানুষের চলাচল। তবে শ্রমজীবীরা জীবিকার তাগিদে শীত উপেক্ষা করে বের হয়েছেন কাজের সন্ধান।
ভ্যান চালক আবুল হোসেন বলেন, ঠান্ডা বাতাসে ভ্যান চালানোর সময় হাত মনে হচ্ছে বরফ হয়ে যাচ্ছে। খুব কষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ভাড়া মারতে পারছি না ঠিকমতো। কিন্তু যত শীত পড়ুক না কেন পেটের তাগিদে বের হতেই হবে।
দিনমজুর হাফিজুল বলেন, এলাকায় হাড় কাঁপানো ঠান্ডা বাতাস বইছে। এমন অবস্থায় খোলা মাঠে কাজ করতে খুবই কষ্ট হচ্ছে।
তীব্র শীতে জেলা সদর হাসপাতাল, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, বেসরকারি হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত মানুষের ভিড় বাড়ছে। শিশু ও মেডিসিন ওয়ার্ডগুলোয় ধারণ ক্ষমতার কয়েক গুণ বেশি রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
বিবার্তা/আসিম/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]