চুয়াডাঙ্গায় শীতের সঙ্গে বৃষ্টি
মাধ্যমিক বন্ধ, প্রাথমিক খোলা থাকলেও উপস্থিতি কম
প্রকাশ : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ১৭:৪৩
মাধ্যমিক বন্ধ, প্রাথমিক খোলা থাকলেও উপস্থিতি কম
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

শীতে চুয়াডাঙ্গায় মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধ থাকলেও খোলা ছিল প্রাথমিক বিদ্যালয়। একদিকে যেমন শীত অন্যদিকে ভোর থেকে বৃষ্টি হওয়ার কারণে জেলার চারটি উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিল কম।


শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা বলছেন, চুয়াডাঙ্গার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।


১৮ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে আবার শুরু হয়েছে বৃষ্টি। তাছাড়া বুধবার সন্ধ্যায় মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়। ফলে মাধ্যমিক বিদ্যালয় বন্ধের প্রভাব পড়ায় প্রাথমিকে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কমেছে।


চুয়াডাঙ্গা প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার আজ সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ১১ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং বাতাসের আর্দ্রতা ৯২ শতাংশ। এদিন ভোর ৫টা ৪৫ থেকে সকাল ৮টা ১০ মিনিট পর্যন্ত ১৯ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করেছে।


জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. তবিবুর রহমান বলেন, শীত ও বৃষ্টির কারণে বিদ্যালয়গুলোয় শিক্ষার্থী উপস্থিতির হার কম ছিল। শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। সেখান থেকে স্পষ্ট নির্দেশনা না পাওয়ায় ছুটি দেওয়া হয়নি।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোয় সকাল ৯টা ৩৫ মিনিটে ক্লাস শুরু হয়। অন্যান্য দিনে প্রতি ক্লাসে ৮০ শতাংশের বেশি শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকলেও আজ উপস্থিতির হার ছিল ৫ থেকে ১০শতাংশ।


পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী রিতা খাতুন বলে, শীতে বাড়ি থেকে বের হতি মন চাই ছিল না। পড়াশুনায় গ্যাপ হয়ে যাবে, তাই এসেছি। স্কুলি না আসলে অনেক কিছু শিখতে পারব না। তাই, শীতে কষ্ট কইরে হলেও এসেসি।


নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক বলেন, টানা শৈত্যপ্রবাহ ও তীব্র শীতে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি কিছুটা কমে গেছে। কিন্তু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ছুটি নিয়ে খবর প্রচারিত হওয়ায় অভিভাবকেরা সন্তানদের পাঠাননি।


সদর উপজেলার বোয়ালমারী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সালমা সুলতানা বলেন, একই বাড়িতে কেউ হাইস্কুল (মাধ্যমিক), কেউবা প্রাইমারি স্কুলে পড়াশোনা করে। যেহেতু হাইস্কুলগুলোয় আজ শ্রেণি কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। অভিভাবকেরা তাই ধরে নিয়েছেন প্রাইমারিতেও ছুটি। তাই সন্তানদের পাঠাননি।


শিক্ষার্থী উপস্থিতের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, নিকট অতীতে কখনোই শিক্ষার্থীদের এমন অনুপস্থিতির ঘটনা ঘটেনি।


দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা আজমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বরূপ কুমার দাস বলেন, দুই শিফটে পরিচালিত বিদ্যালয়টিতে প্রথম শিফটে প্রাক্‌ প্রাথমিক, প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে মোট ৭৫ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৩২ জন উপস্থিত হয়েছে। শীত ও বৃষ্টির কারণে এই অনুপস্থিতি।


আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগার সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকাল ৯টায় জেলার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। মৃদু শৈত্যপ্রবাহের পাশাপাশি এদিন বাতাসের আর্দ্রতা রেকর্ড করা হয় ৯৭ শতাংশ।


এর আগে ১২ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৬ শতাংশ, ১৩ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৫ শতাংশ, ১৪ জানুয়ারি ৯ দশমিক ৮ শতাংশ রেকর্ড করা হয়। অর্থাৎ ১২ থেকে ১৪ জানুয়ারি একটানা তিন দিন জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে গেছে।


বিবার্তা/আসিম/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com