ঘন কুয়াশার সাথে উত্তর থেকে বয়ে আসা হিমশীতল বাতাস আর কনকনে শীতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চুয়াডাঙ্গার মানুষের জনজীবন। শুক্রবার আবহাওয়া স্বাভাবিক থাকলেও গতকাল দুপুর পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। এমতাবস্থায় আজও কুয়াশার কারণে দৃষ্টিসীমা কমে যাওয়ায় সড়কে হেড লাইট জ্বালিয়ে ধীরগতিতে চলাচল করছে যানবাহন। এমন পরিস্থিতিতে সবচে বেশি বিপাকে পড়েছে ছিন্নমূল ও খেটে খাওয়া মানুষজন। পেটের তাগিদে তীব্র শীত উপেক্ষা করেই কাজে বের হচ্ছেন নিন্মআয়ের মানুষ।
গরম কাপড়ের অভাবে কষ্টে আছেন জেলার ছিন্নমূল মানুষ। কেও কেও খড়কুটোয় আগুন লাগিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করছেন। শীত নিবারণের জন্য মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো আগাম প্রস্তুতি গ্রহণ করলেও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া ও শ্রমজীবী মানুষগুলো শীতবস্ত্র সংগ্রহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান বলেন, ২৪ ডিসেম্বর, রবিবার সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস, বাতাসের আর্দ্রতা ৯৮ শতাংশ। এ মাসে জেলার ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যেতে পারে।
এর আগে জেলায় চলতি শীত মৌসুমে সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
মাইক্রোবাস চালক সবুজ বলেন, সকাল থেকে ঘন কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে সড়ক। ১০ থেকে ১৫ ফিট দূরত্বের মধ্যে বোঝা যায় না সামনে থেকে গাড়ি আসছে কি না। এজন্য হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাতে হচ্ছে। না হলে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
অটোচালক নাজমুল ইসলাম বলেন, সকাল ৯টা পার হয়ে গেলেও ভাড়া হচ্ছেনা। ঘণ কুয়াশা আর শীতের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় মানুষের চলাচল কম রাস্তায়। রাস্তায় যাত্রীর জন্য অপেক্ষা করছি।
এদিকে ঠান্ডা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শীতজনিত রোগে আক্রান্তের হার বেড়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষেরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন। হাসপাতালগুলোতে বেড়েছে শীতজনিত রোগে আক্রান্ত রোগীর চাপ। এ সময় শিশু ও বৃদ্ধদের সাবধানে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।
বিবার্তা/সাঈদ/মাসুম
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]