বাগেরহাট ৩ আসনে ৭ প্রতিদ্বন্ধীর লড়াই
প্রকাশ : ২৩ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৬:৩৯
বাগেরহাট ৩ আসনে ৭ প্রতিদ্বন্ধীর লড়াই
মোংলা প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মোংলা-রামপাল/মোংলা বন্দর-রামপাল তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র (বাগেরহাট-০৩) আসনে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের হাবিবুন নাহার, নৌকা; স্বতন্ত্র'র (আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী) ইদ্রিস আলী ইজারদার, ঈগল পাখি; তৃণমূল বিএনপি'র ম্যানুয়েল সরকার, সোনালী আঁশ; জাতীয় পার্টির মনিরুজ্জামান মনির, লাঙল; জাসদের নুরুজ্জামান মাসুম, মশাল ও বিএনএম'র সুব্রত মন্ডল, নোঙ্গর প্রতীক পেয়েছেন। গত সোমবার দুপুরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাঃ খালিদ হোসেন প্রার্থীদের হাতে প্রতীক তুলে দেন।


এবারের নির্বাচনে এই আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের হাবিবুন নাহারের বিপরীতে প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে দাঁড়িয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদার। আর নতুন করে এ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তৃণমূল বিএনপির ম্যানুয়েল সরকার। সব মিলিয়ে এ আসনে মোট ৭জন প্রার্থী রয়েছেন। তারমধ্যে আওয়ামী লীগের নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর ঈগল পাখি প্রতীকই প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে আলোচনায় রয়েছেন।


বাগেরহাট জেলার ৪টি আসনের মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ আসন হিসেবে বিবেচিত হয়ে আসছে মোংলা-রামপাল (বাগেরহাট-০৩) আসনটি। এ আসনে রয়েছে জেলার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। ফলে শুধু এ জেলাই নয়, সারাদেশেই এ আসনটির গুরুত্ব ও পরিচিতি সর্বাধিক। এ আসনের মোংলায় রয়েছে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম সামুদ্রিক বন্দর, ইপিজেড, বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল, তেল, গ্যাস ও সিমেন্ট ফ্যাক্টরি, সাদা সোনাখ্যাত চিংড়ি চাষ, রেললাইন, বিশ্বখ্যাত ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট সুন্দরবন, দেশের বহুল আলোচিত রামপাল কয়লা ভিত্তিক তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, নির্মাণাধীন খান জাহান আলী বিমান বন্দর, রেললাইন, বাগদা চিংড়ির ঘেরসহ নানা ধরনের প্রকল্পও।


এ আসনটিতে বরাবরই আওয়ামী লীগের দখলে রয়েছে। টানা ৭বার এ আসনে নৌকা নিয়ে বিজয় লাভ করেন তালুকদার আব্দুল খালেক ও হাবিবুন নাহার দম্পতি। এরমধ্যে বর্তমান খুলনা সিটি করপোরেশন মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ তালুকদার আব্দুল খালেক ৪বার ও তার সহধর্মিণী হাবিবুন নাহার ৩বার নির্বাচিত হন।


পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী হাবিবুন নাহার বলেন, নিশ্চিন্তে আমরা যেন এ ভোট অনুষ্ঠানটি পার করতে পারি, সবাই সকল বিধি নিষেধ মেনে। এ ভোটটিকে বিশ্বের কাছে গ্রহণযোগ্য করতে যেটি দরকার সেটি হলো ভোট কেন্দ্রে সবার উপস্থিতি।


তিনি আরো বলেন, পিছনে ফিরে তাকানোর কিছুই নেই, কারণ ২০০১ সালের পর থেকে এ এলাকায় প্রচুর উন্নয়ন হয়েছে। আর এসব সম্ভব হয়েছে এ প্রতীককে (নৌকা) সামনে নিয়ে। সেই প্রতীকটিকে মানুষ অবশ্যই সম্মান করবেন বলে আমি আশা করি।


স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারদার বলেন, আমি এ নির্বাচনে অংশ নিয়েছি, আমি আওয়ামী লীগের লোক ছিলাম, আছি ও থাকবো। অতএব আমার এ এলাকার উন্নয়নে যা যা প্রয়োজন তা আমি জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে বুঝে নিতে পারবো বলে বিশ্বাস করি।


বিবার্তা/জাহিদ/এমজে

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com