ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ (সদর ও বিজয়নগর) আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের (বিএনএম) প্রার্থী জামাল রানার বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘন করে হেলিকপ্টারে চড়ে এলাকায় এসে সভা করার অভিযোগ উঠেছে।

৬ ডিসেম্বর, বুধবার দুপুরে তিনি ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে সদর উপজেলার কোড্ডার মিতালী ফুটবল খেলার মাঠে নামেন।

জামাল রানা সদর উপজেলার কোড্ডা এলাকার বাসিন্দা। তিনি কেন্দ্রীয় জাতীয় পার্টির যুব সংহতির সহ-সভাপতি ছিলেন। বর্তমানে বিএনএম থেকে এই আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন তিনি।

স্থানীয় লোকজন ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, বুধবার দুপুর ১টার দিকে জামাল রানা হেলিকপ্টারে চড়ে সদর উপজেলার কোড্ডা মিতালী ফুটবল মাঠে নামে। এসময় তার কর্মী-সমর্থকরা জড়ো হয়ে তাকে অভ্যর্থনা জানায় এবং গলায় ফুলের মালা দেয়। এরপর তিনি কোড্ডা রেললাইন এলাকায় নিজের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন।

পরে কোড্ডা এলাকায় ভূঁইয়া বাড়িতে বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত এলাকার লোকজনের সঙ্গে সভা করেন তিনি। সভায় এলাকায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।

নির্বাচনি আচরণবিধির ৮(গ) ধারায় যানবাহন ব্যবহার সংক্রান্ত বাধা নিষেধে বলা হয়েছে, নির্বাচনি প্রচার কার্যে হেলিকপ্টার বা অন্য কোনো আকাশযান ব্যবহার করা যাইবে না তবে দলীয় প্রধানের যাতায়াতের জন্য উহা ব্যবহার করিতে পারিবে। কিন্তু যাতায়াতের সময় হেলিকপ্টার হইতে লিফলেট, ব্যানার বা অন্য কোনো প্রচার সামগ্রী প্রদর্শন বা বিতরণ করিতে পারিবে না।

বিএনএমের প্রার্থী জামাল রানা বলেন, আমার ভাই আলমগীর গত মঙ্গলবার ইতালি থেকে দেশে আসে। তাকে নিয়ে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টারে এলাকায় আসি। আমার ভাই হেলিকপ্টার ভাড়া করেছে।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ সেলিম শেখ বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। নির্বাচনি আচরণবিধি লঙ্ঘন করায় ওই প্রার্থীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। ওই প্রার্থী আর আচরণবিধি লঙ্ঘন করবেন না বলে অঙ্গীকারনামা দিয়েছেন।

বিবার্তা/লিমন