সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের কাজ শুরু
প্রকাশ : ১৫ নভেম্বর ২০২৩, ১২:৩৬
সাভার ও আশুলিয়ার পোশাক কারখানায় শ্রমিকদের কাজ শুরু
সাভার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

সংকট কাটিয়ে শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার সকল কারখানায় উৎপাদন শুরু করেছে শ্রমিকরা। শিল্পাঞ্চল সাভার ও আশুলিয়ার পরিস্থিতি একেবারেই স্বাভাবিক হলেও নিরাপত্তার স্বার্থে বিভিন্ন কারখানার সামনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।


১৫ নভেম্বর, বুধবার সকালে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন আশুলিয়া শিল্প পুলিশ ১ এর (এসপি) পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম। এর আগে সকাল ৮ টার দিকে টঙ্গী-আশুলিয়া-ইপিজেড সড়কের ইউনিক, বাইপাইল, শিমুলতলা, জামগড়া, ছয়তলা, নিশ্চিন্তপুর, নরসিংহপুরসহ বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সব
কারখানাতে স্বাভাবিকভাবেই কারখানায় প্রবেশ করছে শ্রমিকরা। তারা সকাল থেকেই উৎপাদন শুরু করেছেন।


খোঁজ নিয়ে জানা যায়, টানা দুই সপ্তাহ বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকরা সড়কে নেমে বিক্ষোভ করলে থমথমে হয় শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ার পরিস্থিতি। এক কারখানার শ্রমিক আরেক কারখানায় গিয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালায়।


পরে নিরাপত্তার স্বার্থে গত ১১ নভেম্বর ১৩০ কারখানা শ্রম আইন ২০০৬ সালের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেন কতৃপক্ষ। তবে বন্ধ ঘোষণার পরের দিনই খুলে দেওয়া হয় ৭০ কারখানা। দ্বিতীয় দিন খুলে দেওয়া ৭৫ টি কারখানা। আর আজ সকল কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।


আশুলিয়ার কাঠগড়া এলাকার ডুকাটি এপ্যারেলস লিমিটেড কারখানার শ্রমিরা জানায়, তাদের কারখানায় কোন আন্দোলন ছিল না। তবে শেষের দিকে শ্রমিকরা কাজ বন্ধ করে বসে ছিল। তাদের কারখানায় বহিরাগতরা হামলা করেছিল। পরে কারখানা কতৃপক্ষ অনির্দিষ্টকালের জন্য কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছিল কতৃপক্ষ। কিন্তু আজ খুলে দিলে শ্রমিকরা উৎপাদন শুরু করেছে। কারখানায় কোন ঝামেলা নাই। আগের মতই কাজ করছে শ্রমিকরা।


শিমুলতলা এলাকার এক গার্মেন্টসের উৎপাদন কর্মকর্তা বলেন, আজ থেকে পুরোদমে কাজ শুরু করেছে শ্রমিকরা। আজকের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে সঙ্কট কেটে গেছে। শ্রমিকরা সকালে কারখানায় প্রবেশ করে উৎপাদন শুরু করেছেন। শিল্পাঞ্চলে কাজের পরিবেশ ফিরে এসেছে। আর কোন ঝামেলা হওয়ার সম্ভাবনা নাই।


আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১-এর পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ সারোয়ার আলম বলেন, গত ১১ নভেম্বর নিরাপত্তার স্বার্থে শিল্পাঞ্চল সাভার, আশুলিয়া ও ধামরাইয়ের ১৩০ টি কারখানা বন্ধের নোটিশ টানিয়ে দেয় কতৃপক্ষ। যা ২০০৬ সালের ১৩ (১) ধারা অনুযায়ী বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে ১২ নভেম্বরর ৭০ কারখানা ও ১৩ নভেম্বর ৭৫ টি সর্বশেষ আজ ১২৯ টি কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে।


প্রসঙ্গত, বেতন বৃদ্ধির দাবিতে টানা দুই সপ্তাহ কাজ বন্ধ করে সড়কে নেমে বিক্ষোভ করে শ্রমিকরা। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে টিয়ারগ্যাস ও রাবার বুলেট ব্যবহার করতে হেয়েছে। চলমান অসন্তোষের মধ্যেই সাড়ে ১২ হাজার টাকা সর্বনিম্ন মজুরি ঘোষণা দেন মজুরি বোর্ড। এই সাড়ে ১২ হাজার টাকা বেতন প্রত্যাখান করে আবারও আন্দোলনে যায় শ্রমিকরা। এই আন্দোলনের মুখে শিল্পাঞ্চলের ১৩০ কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আজ সকল কারখানা খুলে দেয় কতৃপক্ষ।


তবে হামলা, ভাঙচুরের ঘটনায় ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ১৭ মামলায় ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এসব মামলায় আসামি করা হয়েছে প্রায় ৪ হাজারের অধিক। তবে এসব আসামিরা হবেন অজ্ঞাত পোশাক শ্রমিক ও উস্কানিদাতারা।


বিবার্তা/বাশার/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com