বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল
বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-আ.লীগ-পুলিশ সংঘর্ষ
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২৩, ১৬:৩৬
বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে বিএনপি-আ.লীগ-পুলিশ সংঘর্ষ
বগুড়া প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলাকালে বগুড়ার বিভিন্ন স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ২৯ অক্টোবর, রবিবার সকাল ১০টায় শহরের গলপট্টি ও নিউমার্কেট এলাকায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পরে বিএনপি-আওয়ামী লীগ। এঘটনায় উভয় রাজনৈতিক দলের প্রায় ১০জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন।


এসময় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইট-পাটকেল ছোড়া, ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে টিয়ারসেল ছোড়ে পুলিশ। এসময় রনক্ষেত্রে পরিণত হয় নবাব বাড়ি সড়ক, ফতেহ আলী মোড়, গালাপট্টিতে ও টেম্পল রোড এলাকা।


এরপর বিএনপি-আওয়ামী লীগ নিজেদের দলীয় জেলা কার্যালয় এলাকায় লাঠি নিয়ে মারমুখি অবস্থান গ্রহণ করে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিকেল ৪টায় দুই পক্ষই তাদের অবস্থান ধরে রেখেছে।



এদিকে সকাল থেকেই বগুড়া শহরের অদুরে সদর উপজেলার গোকুল ইউনিয়নের বাঘোপাড়া এলাকায় ঢাকা-রংপুর মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে পিকেটিং করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা। এরই এক পর্যায়ে বিএনপি নেতা-কমীদের মহাসড়ক থেকে সড়িয়ে দিতে গুলি ছোড়ে পুলিশ। এসময় পুলিশকে লক্ষ করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে হরতাল সমর্থকরা।


পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আরও শটগানের গুলি ছুড়লে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে স্থানীয় ধলু মিয়ার ১০ বছরের শিশু সন্তান মাহি, শিক্ষার্থী নয়ন, রাজু, আওলাদ ও গফুর গুলিবিদ্ধ ও আহত হয়।


এছাড়া ইটের আঘাতে ৩জন স্থানীয় সংবাদিক আহত হওয়ার ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন, দৈনিক করতোয়ার মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার রাহাত রূপান্তর, দৈনিক জয়যুগান্তর পত্রিকার সংবাদদাতা সাব্বির আহম্মেদ শাকিল ও সাংবাদিক বিবিন মাহমুদ।


বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেন, রবিবারের হরতালে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাধারণ মানুষ সমর্থন জানিয়েছেন। শহরে বিএনপির সমাবেশ চলাকালে সরকারি দলের গুন্ডারা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে হাতবোমা হামলা ও গুলি চালিয়েছে। পুলিশের গুলিতে বেশ কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। হরতালের আগে কারণ ছাড়াই শতাধিক নেতা-কর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। গোকুলে সকাল থেকে গ্রামবাসীরা স্বতঃস্ফূর্তভাবে মহাসড়কে পিকেটিং করছিলেন। পুলিশ বিনা উসকানিতে গ্রামবাসীদের ওপর দফায় দফায় গুলিবর্ষণ করেছে।


বগুড়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শরাফত ইসলাম বলেন, সদর উপজেলার গোকুলে টহল দলকে পাঠানো হয়েছিল, তারা কী পরিস্থিতিতে কত রাউন্ড গুলি ছুড়েছে, তা জানা নেই।



এছাড়াও বগুড়ার একটি মন্দির পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে বাঘোপাড়া এলাকায় বেলা সাড়ে ১২টার দিকে হরতাল চলাকালীন সময়ে বিক্ষুব্ধ জনতা সদরের ইউএনও ফিরোজা পারভীনের গাড়ি ভাঙচুর করে।


বিবার্তা/রাহেনুর/জবা

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com