বাংলাদেশে অরাজকতার পরিকল্পনা ছিল আরসা প্রধানের: র‍্যাব
প্রকাশ : ০২ অক্টোবর ২০২৩, ২০:৪০
বাংলাদেশে অরাজকতার পরিকল্পনা ছিল আরসা প্রধানের: র‍্যাব
কক্সবাজার প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

রোহিঙ্গা আশ্রয় শিবিরে ত্রাস সৃষ্টি করা সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরকান স্যালভেশন আর্মি আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনীর বাংলাদেশে অরাজকতা তৈরির পরিকল্পনা ছিল বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছে এরশাদ নোমান চৌধুরী।


২ অক্টোবর, সোমবার মধ্যরাতে আটকের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নোমান এই তথ্য দিয়েছেন বলে এক সংবাদ সম্মেলনে জানান কক্সবাজারস্থ র‍্যাব -১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচ.এম সাজ্জাদ হোসেন।


১৬ বছর বয়স থেকে পিতার উত্তরসূরি হিসেবে আরসায় যোগ দেয় রোহিঙ্গা এরশাদ নোমান চৌধুরী। তারপর আস্থাভাজন হিসেবে আরসা প্রধান আতাউল্লাহ জুনুনীর বডি গার্ড, সহকারী এমনকি অর্থ সমন্বয়কারী বনে যান।


সোমবার রাত দেড়টায় উখিয়ার কুতুপালং থেকে আটকের পর এদিন দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক জানিয়েছেন এরশাদ নোমান চৌধুরীর কাছেই হুন্ডির মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্য থেকে অর্থ আসে। রোহিঙ্গাদের পাঠানো এই অর্থ অস্ত্র কেনাসহ আরসার বিভিন্ন গ্রুপের মাঝে তা সমন্বয়ের কাজ করতেন।


র‍্যাব জানায়, আরসা প্রধান আতাউল্লাহর পরিকল্পনা ছিলো আরসাকে ব্যবহার করে বাংলাদেশে বড় ধরনের অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি করা। যার প্রধান দায়িত্বে ছিলেন নোমান চৌধুরী। নোমানই আরসা সদস্যদের জন্য ইউনিফর্মের কাপড়, ল্যান্ডমাইন, ওয়াকিটকি, ওষুধসামগ্রী ও অন্যান্য সরঞ্জাম সংগ্রহ করতেন।


আটক নোমান চৌধুরী সরাসরি বিভিন্ন সন্ত্রাসী কাজে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন এবং তার নেতা আরসা প্রধান আতাউল্লাহ’র বাংলাদেশেও নাশকতার পরিকল্পনার তথ্য র‍্যাবের কাছে ফাঁস করেন ।


তবে আরসার ব্যবহৃত অস্ত্রগুলোর উৎস জানতে আটক নোমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করবেন বলে জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।


র‍্যাবের অভিযানে আতাউল্লাহর এমন পরিকল্পনা ভণ্ডুল হয়ে গেছে দাবি করে এই লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাজিদ হোসেন জানান, আরসার অপতৎপরতা দমনে র‍্যাব সময় সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। চলতি বছরের ২ অক্টোবর পর্যন্ত বোমা তৈরির কারিগর, গানম্যান, অর্থ সম্পাদকসহ আরসার ৬০ জন বিভিন্ন পর্যায়ে নেতা ও সদস্য আটক করেছে র‍্যাব।


র‍্যাব-১৫ এই কর্মকর্তা দাবি করেন, আটক নোমান চৌধুরী রোহিঙ্গা সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আরসার প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মার জুনুনীর একান্ত সহকারী এবং আরসার অর্থ সংগ্রহের প্রধান সমন্বয়ক।


নোমানের মাধ্যমে আরসার কাছে নিয়মিত বিদেশি অর্থ সহায়তা আসতো হুন্ডির মাধ্যমে। তিনি বিভিন্ন দেশে যেসব রোহিঙ্গা বসবাস করে তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ করে টাকাগুলো সংগ্রহ করতো। এরপর এসব টাকা আশ্রয় শিবিরের অবস্থান করা বিভিন্ন ক্যাম্প কমান্ডারদের কাছে সরবরাহ করতো।


এছাড়াও আটক নোমান চৌধুরী ২০২২ সালের ১৪ নভেম্বর তুমব্রু সীমান্তে অভিযান চালানোর সময় আরসার হাতে সামরিক গোয়েন্দা সংস্থার শীর্ষ কর্মকর্তা হহত্যাকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গেও সরাসরি জড়িত ছিলেন।


র‍্যাব জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উখিয়ার কুতুপালং এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়। আটকের প্রাথমিক স্বীকারোক্তিতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছে র‍্যাবকে। রোববার রাতে উখিয়ার কুতুপালং এলাকা থেকে তাকে আটক করে র‍্যাব-১৫।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com