এক সপ্তাহ থেকে তীব্র ভাঙন দেখা দিয়েছে গংগাচড়া উপজেলার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া তিস্তার শাখা ঘাঘট নদীতে। একটু বৃষ্টিতেই দেখা যায় তীব্র ভাঙন। দুশ্চিন্তায় পরে দুপাশের বসবাসকারী লোকজন।
জুলাই-আগষ্ট মাসে পানির সর্বোচ্চ প্রবাহ থাকার কথা থাকলেও কদিনের টানা বৃষ্টিতে গংগাচড়া উপজেলা দিয়ে বয়ে যাওয়া অংশে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
ভাঙ্গনের কবলে পড়েছে উপজেলার আলমবিদিতর ইউনিয়ন এর শাহী ঈদগাহ মাঠ, কুশ্বারঘাট ব্রিজ সংলগ্ন চওড়াপাড়া ও বড়বিল ইউনিয়ন এর ঘাঘট টারী।
ভুক্তভোগীরা জানান, কদিনের টানা বৃষ্টিতে বাড়ি ঘড়, জমি ভেঙ্গে গেছে। এরকম একটু বৃষ্টি হলেই ভোগান্তির সৃষ্টি হয়। এই ভাঙ্গনের হাত থেকে আমাদের বাঁচান।
১ অক্টোবর, রবিবার রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম এর নির্দেশে ভাঙন এলাকা পরিদর্শন এ আসেন রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড এর উপ সহ. প্রকৌশলী সাদেকুল ইসলাম। আলমবিদিতর ইউনিয়ন এর শাহী ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন পয়েন্ট এ পরিদর্শন শেষে তিনি জানান, আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশ এ ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করলাম। অফিসে গিয়ে বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবো।
স্থানীয় সমাজসেবক জয়নাল আবেদিন জানান, গত এক সপ্তাহ থেকে টানা বৃষ্টিতে শাহী ঈদগাহ মাঠ সংলগ্ন পয়েন্ট এ তীব্র ভাঙন দেখা দিলে বিষয়টি জাতীয় সংসদ এর বিরোধী দলীয় চিফ হুইপ রাঁঙ্গা এমপিকে জানাই। এইতো আজ পরিদর্শন এ এসেছে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আব্দুর রশিদ বলেন, এই ঈদগাহ মাঠ এ সাতান্নটি জামায়াত ঈদের নামাজ আদায় করে। ঘাঘট এর ভাঙন এর হাত থেকে যে করেই হোক ঈদগাহ মাঠ কে রক্ষা করতে হবে।
এ বিষয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর এর নির্বাহী প্রকৌশলী রবিউল ইসলাম জানান, ভাঙনের বিষয়টি জেনেছি, ভাঙন রোধে জরুরি ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বিবার্তা/নাহিদ/সউদ
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]