কক্সবাজার টেকনাফে লেজিরপাড়া এলাকার রুজিনা আক্তারকে ১ লক্ষ ইয়াবাসহ আটক করেছে র‌্যাব-১৫।

মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে এ্যাডভান্স টিম গঠন’সহ ছদ্মবেশ ও নানাবিধ অভিনব পন্থায় র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর আভিযানিক দলের গোয়েন্দা তৎপরতা নজরদারীর প্রেক্ষিতে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারে, কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন সাবরাং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের লেজিরপাড়া এলাকার জনৈক মৃত অলি আহমদ এর বসত ঘরের ভিতর কতিপয় মাদক কারবারি মাদকদ্রব্য ইয়াবা ক্রয়-বিক্রয়ের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।

এমন তথ্যের ভিত্তিতে ২৫ সেপ্টেম্বর, সোমবার অনুমান ৭টা ৪০ মিনিটে র‌্যাব-১৫, কক্সবাজার এর একটি চৌকস আভিযানিক দল বর্ণিত স্থানে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। এমন সময় র‌্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘর থেকে বের হয়ে দ্রুত পালানোর চেষ্টাকালে একজন মহিলা মাদক কারবারিকে আটক করতে সক্ষম হয়, তবে অপর কারবারি পালিয়ে যায়।

প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃত নারী উল্লেখিত বাড়িটি তাদের নিজেদের বলে জানায়। উক্ত ঘরের খাটের নিচে সাদা রংয়ের প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর মাদকদ্রব্য ইয়াবা ট্যাবলেট মজুদ রয়েছে মর্মে স্বীকার করে।

তথায় উপস্থিত সাক্ষী সম্মুখে আটককৃত মহিলার দেহ ও বসতঘর তল্লাশী করে খাটের নিচে থাকা সাদা রংয়ের প্লাষ্টিকের ব্যাগের ভিতর হতে সর্বমোট ১,০০,০০০ (এক লক্ষ) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়।

আটককৃত মাদক কারবারি মহিলার নাম রুজিনা আক্তার (৩০), স্বামী-হাফিজ উল্লাহ, পিতা-মৃত অলি আহমদ, মাতা-হালেমা খাতুন, সাং-লেজিরপাড়া, ৫নং ওয়ার্ড, সাবরাং ইউনিয়ন, থানা-টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার বলে জানা যায়।

জিজ্ঞাসাবাদে আরো জানায়, সে এবং পলাতক মাদক কারবারি আপন ভাই-বোন। তারা বেশ কিছু দিন ধরে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে নানান পন্থায় কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ইয়াবা চালান সরবরাহ/বিক্রয় করে আসছে। উক্ত মাদকদ্রব্য পার্শ্ববর্তী সীমান্তবর্তী এলাকা হতে সংগ্রহ করে নিজেদের হেফাজতে বসত ঘরে মজুদ করে এবং কক্সবাজারসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিক্রয় করে।

উদ্ধারকৃত ইয়াবাসহ ধৃত ও পলাতক কারবারিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণার্থে টেকনাফ মডেল থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে।

বিবার্তা/পুণ্য বর্ধন/সউদ