যৌতুকের দাবিতে গৃহবধূ চম্পা খাতুনকে (৩৮) শারীরিক নির্যাতনের পর হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামী নরশেদ আলীর বিরুদ্ধে।
নিহতের ভাই সাইদুল ইসলাম অভিযোগ দিলেও থানায় হত্যা মামলা রুজু হয়নি। এঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা রেকর্ড করা হয়েছে।
নিহত চম্পা খাতুন গুরুদাসপুর উপজেলার চাপিলা ইউনিয়নের নওপাড়া গ্রামের নরশেদ আলীর স্ত্রী ছিলেন। সোমবার (৪সেপ্টেম্বর) রাতে চম্পা হত্যাকাণ্ডের শিকার হন। রাতেই লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় পুলিশ।
নিহতের ভাই সাইদুল ইসলাম অভিযোগ করেন, সোমবার সন্ধ্যায় তার বোনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। প্রতিবেশীদের দেওয়া খবরে তিনি বোনের বাড়িতে আসেন। এসময় বোন চম্পার লাশটি ঘরের মেঝেতে পড়েছিল। ঘরের আসবাবগুলো এলোমেলো ছিল।
তিনি বলেন, প্রায় ১৮ বছর আগে নরশেদ আলীর সাথে ছোট বোনকে বিয়ে দিয়েছিলেন। সম্প্রতি যৌতুকের জন্য চম্পাকে নির্যাতন করছিলেন বোনজামাই। সপ্তাহখানেক আগে চম্পা তাকে প্রাণ সংশয়ের কথা জানিয়ে ছিলেন। অবশেষে হত্যা করা হলো তার বোনকে। তিনি হত্যাকারিদের বিচার দাবি করেন।
স্থানীয় ইউপি সদস্য ফরহাদ হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহতের পরিবারে দ্বন্দ্ব চলছিল। বিষয়টি নিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত করলেই প্রকৃত ঘটনা উদঘানট হবে।
অভিযুক্ত নরশেদ আলীর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
গুরুদাসপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মোনোয়ার হোসেন বলেন, ঘটনার রাতে লাশটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠানো হয়। এঘটনায় নিহতের ভাইয়ের দেয়া অভিযোগটি অপমৃত্যুর মামলা রুজু করা হয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পেলে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।
বিবার্তা/জনি/জবা
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]