
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বিভিন্ন খাতে অসামান্য অগ্রগতি সাধন হয়েছে উল্লেখ করে বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, আমাদের পোশাক শিল্পের উদ্যোক্তারা অত্যন্ত চৌকস। তারা পোশাক শিল্পের বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ সফলতার সঙ্গে মোকাবিলা করেছেন। আমি বিশ্বাস করি, বাংলাদেশের পোশাক শিল্প আরও অনেক দূর এগিয়ে যাবে। এই শিল্পের হাত ধরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশে উন্নীত হবে ইনশাআল্লাহ।
৭ মে, মঙ্গলবার রাজধানীতে আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরায় (আইসিসিবি) ‘১৬তম বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো’-র সমাপনী অনুষ্ঠানে একথা বলেন তিনি।
এসময় বাংলাদেশে নিযুক্ত নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত ইরমা ভ্যান ডুয়েরেন, বিজিএমইএ’র সভাপতি এস এম মান্নান (কচি) এবং বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
মন্ত্রী বলেন, পোশাক শিল্প বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি। এদেশের রফতানি আয়ের প্রায় ৮৪ শতাংশ আসে এই শিল্প থেকে। প্রায় ৪০ লাখ শ্রমিক এই শিল্পে কর্মরত আছেন, যার প্রায় ৬৫ শতাংশ নারী। এদেশের প্রায় ২ কোটি মানুষের জীবন ও জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এদেশের জিডিপিতে পোশাক শিল্পের অবদান প্রায় ১১ শতাংশ। গতবছর বাংলাদেশের পোশাক রফতানি ছিল ৪৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আমরা রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। বলা যায়, বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তি এসেছে এদেশের পোশাক শিল্পের হাত ধরে। বিশ্বের প্রায় ১৬০টি দেশের মানুষ ‘মেড ইন বাংলাদেশ’ পোশাক পরিধান করেন।
পোশাক ক্রেতাদের উদ্দেশ্যে মন্ত্রী অনুরোধ করে বলেন, নিরাপদ ও কমপ্লায়েন্ট পোশাক প্রস্তুতকারক দেশ হিসেবে তারা বাংলাদেশকে সোর্সিং ডেসটিনেশন হিসেবে বেছে নেবেন এবং পোশাকের যথাযথ মূল্য বা ফেয়ার প্রাইস দেবেন, আফ্রিকার কোন নন-কমপ্লায়েন্ট দেশের পোশাকের তুলনায় আমাদের পোশাকের মূল্য বেশি হবে সেটি স্বাভাবিক। কারণ কর্মপরিবেশ নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে ও পরিবেশবান্ধব পোশাক তৈরিতে এদেশের উদ্যোক্তারা নিয়মিত বিনিয়োগ করছেন।
এবার দুদিনব্যাপী বাংলাদেশ ডেনিম এক্সপো মেলায় অংশ নিয়েছে বিশ্বের ১৩টি দেশ হতে ৬০টিরও বেশি কোম্পানি।
বিবার্তা/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]