রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুর ইউনিয়নের পদ্মা নদীতে নৌকা ডুবে নিখোঁজ হওয়ার ৩০ ঘণ্টা পর কৃষক আব্দুল কুদ্দুসের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

৫ সেপ্টেম্বর, মঙ্গলবার ইউনিয়নের চর-আফড়া গ্রামের তালতলা এলাকা থেকে মরদেহটি উদ্ধার করে পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা।

মো. আব্দুল কৃদ্দুস মন্ডল (৬০) ইউনিয়নের গঙ্গানন্দদিয়া গ্রামের মৃত উজির মন্ডলের ছেলে। ৪ সেপ্টেম্বর সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে ইউনিয়নের চরপাড়া বেড়িবাধ ঘাট থেকে নিজ জমিতে (আঁখ ক্ষেতে) কাজের উদ্দেশ্যে পদ্মার চরে যাওয়ার সময় নৌকা ডুবে নিখোঁজ হন তিনি।

নিখোঁজের পর থেকেই তাকে উদ্ধার অভিযান চালায় পাংশা ফায়ার সার্ভিসের একাধিক সদস্য ও ডুবরী দলের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত দুইজন সদস্য।

পাংশা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সে স্টেশন অফিসার রয়েল আহম্মেদ জানান, সোমবার ঘটনাস্থলে এসে নিখোঁজ হওয়া স্থান সনাক্তের পর উদ্ধার অভিযান চালাই। আজ মঙ্গলবার পর্যন্তও আমাদের উদ্ধার চলমান ছিল। বেলা সকাল ১২ টার দিকে সংবাদ পাই ইউনিয়নের চর-আফড়া গ্রামের তালতলা নামক স্থানে একটি ভাসমান মরদেহ রয়েছে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করি। মরদেহটি আব্দুল কুদ্দুসের বলে সনাক্ত করে তার পরিবার। নিখোঁজ হওয়া স্থানের থেকে মরদেহ পাওয়া স্থানের দুরত্ব প্রায় ৫ কি:মি:। মরদেহটি তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

উল্লেখ্য,৪ সেপ্টেম্বর সোমবার নিখোঁজ আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল প্রতিদিনের ন্যায় পদ্মার চরে তার নিজ জমিতে কৃষি কাজের জন্য যাচ্ছিলেন। একটি নৌকায় ১৬ জন কৃষক যাচ্ছিলেন। নৌকাটি ঘাট থেকে পদ্মার চরের মাঝামাঝি গেলে তলিয়ে যায়। এ সময় নৌকায় থাকা সবাই চিৎকার করলে স্থানীয়রা ঘাট থেকে নৌকা নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ১৫ জনকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। আব্দুল কুদ্দুস তলিয়ে গেলে তাকে উদ্ধার করতে না পেরে পাংশা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়।

বিবার্তা/মিঠুন/জবা