চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্রের পানি বিপদসীমায়
নদীতে পর্যাপ্ত মাছ নেই, বন্যায় জেলেদের দুর্বিষহ জীবন
প্রকাশ : ০২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১৯:২৯
নদীতে পর্যাপ্ত মাছ নেই, বন্যায় জেলেদের দুর্বিষহ জীবন
চিলমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি
প্রিন্ট অ-অ+

ব্রহ্মপুত্রের পানি ফুঁসে ওঠায় মাছ ধরতে না পাওয়ায় দুর্বিষহ জীবনযাপন করছেন কুড়িগ্রামের চিলমারীর প্রায় ছয় শতাধিক মৎস্যজীবী। ভরা বন্যায় নদীতে আশানুরূপ মাছের দেখা মিলছে না। অনেকেই আছেন যারা তিন চার দিন থেকে নৌকা নিয়ে বেরুতে পারেননি। আবার কেউ নদীতে মাছ না থাকায় নৌকায় বসে পুরোনো জাল সাড়ারিয়ে নিচ্ছেন। তারা বলছেন, এখনো কোনো ধরনের সহায়তা পাননি। তবে প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে দ্রুত খোঁজ নিয়ে নদীকেন্দ্রিক পরিবারগুলোকে সহায়তা প্রদান করা হবে।


খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার রমনা মডেল ইউনিয়নের মাঝি পাড়া ও বাসন্তী গ্রামে মিলে প্রায় ছয় শতাধিক পরিবার রয়েছেন। যাদের জীবিকা নির্বাহের প্রধান উৎস নদী থেকে মাছ ধরা। অন্য সময় মোটামুটি ভাবে পরিবারের ভরণপোষণ দিতে পারলেও বন্যার সময় ভরা নদীতে প্রয়োজনের তুলনায় মাছের দেখা মিলে না। তাই এ সময় টাতে তাদের মানবেতর জীবন যাপন করতে হয়।


বাসন্তী গ্রামের শ্রী বাবলু চন্দ্র দাস বলেন, বন্যা আসলে আমাদের কষ্ট শুরু হয়। নদীতে পানি বাড়লে মাছ পাওয়া যায় না। আজ কয়দিন থেকে বাড়ির চারপাশে পানি। ছেলে মেয়ে নিয়ে খুব বিপদে আছি। নৌকা নিয়ে নদীতে মাছ ধরতে বেরও হতে পারছি না। আর বের হয়েই বা কি লাভ এত পানিতে কি আর মাছ পাওয়া যায়। এখন বসে বসে জাল সারিয়ে নিচ্ছি।


অপর একজন শ্রী শ্যামল চন্দ্র দাস বলেন, নৌকা নিয়ে নদীতে গিয়ে যে তেল ব্যয় করি তার টাকাই উঠে না। আর তেলের যে দাম। নৌকা নিয়ে বের হলেই ৬ থেকে ৭শ টাকা খরচ হয়। আর এখন নদীতে তেমন মাছও পাওয়া যাচ্ছে না। তিনদিন থেকে মাছ ধরতে বের হতে পারছি না।


উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান খান জানান, আমাদের অফিস থেকে শুধু ইলিশ মাছ ধরা নিষেধ থাকা কালীন কার্ডধারী মৎস্যজীবী দের সহায়তা প্রদান করা হয়। সেটা বছরের এক বার দেয়া হয়। আর এমনিতে সাধারণভাবে উপজেলা প্রশাসন থেকে দুর্যোগকালীন সময় সহায়তা দেয়া হয়। হয়তো তখন সবাই পান না। আমাদের উপজেলায় কার্ডধারী ১১৭৮জন মৎস্যজীবী আছেন।


উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, আজকে পানিবন্দীর সংখ্যা এখনো হাতে আসেনি। তবে গতকাল পর্যন্ত এ উপজেলায় ১১হাজার ৯৩৮জন মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। বন্যার্তদের জন্য এখন পর্যন্ত ১৮ মে.টন চাল বিতরণ চলমান রয়েছে । এছাড়াও আরও ৬ মে.টন চাল মজুত রয়েছে।


এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রাফিউল আলম জানান, ত্রাণ সহায়ন বিতরণ করা হচ্ছে। রমনা ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে মৎস্যজীবী যারা রয়েছেন তাদেরকে সহায়তা দেয়া হবে।


বিবার্তা/রাফি/সউদ

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com