প্রলোভন দেখিয়ে অভিনব কায়দায় টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ৪
প্রকাশ : ৩০ আগস্ট ২০২৩, ০১:৩৬
প্রলোভন দেখিয়ে অভিনব কায়দায় টাকা আত্মসাৎ, গ্রেফতার ৪
বিবার্তা প্রতিবেদক
প্রিন্ট অ-অ+

ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জে চাকরির প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎকারী চক্রের মূলহোতাসহ ৪ জনকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।


গ্রেফতারকৃতরা হলেন- মো. ফজলুল হক (৫৬), হুমায়ন কবির (৪৪), আবু সাইম রিয়াজ (৩২), মামুনুর রশিদ (২৪)। ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার আবদুল্লাহপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।


এসময় তাদের কাছ থেকে ৭২টি বিভিন্ন নামীয় নিয়োগপত্র, রশিদ বই, একটি সিপিইউ, একটি মনিটর, একটি প্রিন্টার, একটি মাউস, একটি কিবোর্ড, পাঁচটি বিভিন্ন ক্যাবল, চারটি বই, একটি পাসপোর্ট, একটি এটিএম কার্ড, নয়টি মোবাইল ও নগদ এক হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।


২৯ আগস্ট, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‍্যাব-১০ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া ও অপ্স) এম ফখরুল হাসান।


তিনি জানান, মঙ্গলবার ভোরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানার আব্দুল্লাপুর এলাকায় একটি অভিযান পরিচালনা করে চাকরির প্রলোভনসহ অভিনব পন্থায় বিপুল অর্থ আত্মসাৎকারী সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের মূলহোতাসহ চারজনকে গ্রেফতার করে।


তিনি আরো বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়- গ্রেফতার ফজলুল হক চক্রের হোতা। তিনি একটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান পরিচয়ে দেশের প্রতিটি জেলার প্রতিটি থানায় এই প্রতিষ্ঠানের সুপারভাইজার, পরিদর্শক, উপ-পরিদর্শকসহ বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেওয়ার কথা বলে ভুক্তভোগীদের কাছ থেকে জামানত বাবদ জনপ্রতি ২০ হাজার টাকা করে নিতেন। এসব নিয়োগের ক্ষেত্রে তিনি ওই থানা এলাকার স্থানীয় বিভিন্ন সরকারি অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবং চাকরি সন্ধানী বিভিন্ন স্বনামধন্য ও বিশ্বস্ত ব্যক্তিদের বাছাই করতেন, যাতে করে স্থানীয় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে প্রবেশে কোনো অসুবিধা না হয়। পরে ফজলুল হক ও তার অন্যান্য সহযোগীরা মিলে প্রত্যেক থানায় একজন সুপারভাইজার এবং তার অধীনে তিনজন করে পরিদর্শক এবং একজন পরিদর্শকের অধীনে পাঁচটি করে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে লোভনীয় অফারের মাধ্যমে অর্থ সংগ্রহের দায়িত্ব বণ্টন করতেন।


পরবর্তীকালে, ফজলুল হক ও তার সহযোগীরা থানা পর্যায়ে ভুয়া নিয়োগ প্রাপ্ত সুপারভাইজারদের মাধ্যমে গ্রামের বিভিন্ন স্কুলে তার নির্দিষ্ট কিছু বই বিতরণ করতেন। এই বইয়ের আলোকে কুইজ প্রতিযোগিতার আয়োজন করে এবং বিজয়ী শিক্ষার্থীদের পুরষ্কার হিসেবে ল্যাপটপ দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে কুইজ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণের রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ জনপ্রতি ১০০-২০০ টাকা করে হাতিয়ে নিতেন। এ ছাড়া উপবৃত্তি দেওয়ার নাম করে তারা রেজিস্ট্রেশন ফি বাবদ প্রতি শিক্ষার্থীর কাছ থেকে ১৫০-২০০ টাকা করে সংগ্রহের মাধ্যমে সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যেক থানার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে সব মিলিয়ে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।


এছাড়াও গ্রেফতার ফজলুল হকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অপরাধে বিভিন্ন থানায় ৪টি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়। গ্রেফতারকৃত আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছ।


বিবার্তা/লিমন

সর্বশেষ খবর
সর্বাধিক পঠিত

সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি

এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)

১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫

ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫

Email: [email protected], [email protected]

© 2021 all rights reserved to www.bbarta24.net Developed By: Orangebd.com