রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি থানার তেতুলিয়া গ্রামের মিনু বেগম (২৭) নামের এক গৃহবধূ হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। পাশাপাশি হত্যাকাণ্ডে জড়িত ২ আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ আগষ্ট) সকালে রাজবাড়ীর পুলিশ সুপারের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ সুপার জি. এম. আবুল কালাম আজাদ সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
মামলার প্রধান আসামী নিহত গৃহবধূর স্বামী উজ্জ্বল শেখ কে ফরিদপুর কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করে র্যাব। মামলার আর এক আসামী নিহতের শাশুড়ী জোহরা বেগম(৪৭) কে গ্রেফতার করে বালিয়াকান্দি থানা পুলিশ।
পুলিশ জানায়, ১০ বছর পূর্বে তেতুলিয়া গ্রামের মো. কুদ্দুস শেখের ছেলে উজ্জল শেখের (৩০) সাথে মিনুর বিবাহ হয়। উজ্জ্বল শেখ ফরিদপুর জেলার একটি জুটমিলে কাজ করতেন। বিবাহরে পর মিনুর গর্ভে সন্তান না আসায় তার স্বামী উজ্জ্বল শেখ দ্বিতীয় বিবাহ করেন। ৫ আগস্ট রাতে মিনু বেগমের স্বামী কর্মস্থল থেকে বাড়িতে আসেন।
এরপর স্ত্রীর সাথে মোবাইল নিয়ে ঝগড়া হয়। ঝগড়ার এক পর্যায়ে মিনু বেগমকে গলা টিপে হত্যা করা হয়। হত্যার পর পাশের রুমে তার বাবা-মা ও ছোট ভাইয়ের স্ত্রী এবং নানী শাশুড়িকে ডেকে তোলেন। ততক্ষণে মিনু বেগম আর বেঁচে নেই।
ছেলেকে আইনে হাত থেকে বাঁচানোর জন্য উজ্জ্বল শেখের বাবা নিজ বাড়ির টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকের ভেতর লাশ গুম করার পরিকল্পনা করেন। সেই পরিকল্পনার হিসেবে টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকের ভেতরে উজ্জ্বল শেখ, শাশুড়ি জোহরা বেগম ও শ্বশুর মো. কুদ্দুস শেখ মিনুর মরদেহ টয়লেটের ভেতর ফেলে দেয়। হত্যায় দায় থেকে ছেলেকে বাঁচাতে মিনুর শ্বশুরের পরিকল্পনায় বালিয়াকান্দি থানায় একটি নিখোঁজ সংক্রান্ত একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এলাকায় জানিয়ে দেন তার পুত্রবধূ অন্য একজনের সাথে পালিয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ আগস্ট নিহতের স্বামী উজ্জ্বল শেখের বাড়ির টয়লেটের সেফটিক ট্যাংকের ভেতর থেকে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।এ ঘটনায় নিহতের মা বাদী হয়ে বালিয়াকান্দি থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
বিবার্তা/মিঠুন/এমজে
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]