রাজবাড়ীর পাংশায় ডিলার শাজাহান শেখের বিরুদ্ধে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল মাপে কম দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। চালের দাম ১০ টাকা কেজি থেকে বাড়িয়ে ১৫ টাকা করার পরও ডিলাররা চাল কম দেয়ায় নিম্নআয়ের লোকজনের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। কিন্তু কার্ড বাতিল হওয়ার আশঙ্কায় তারা প্রকাশ্যে চাল কম দেয়ার প্রতিবাদ করার সাহস পাচ্ছেন না।
জানা গেছে, পাংশা উপজেলার যশাই ইউনিয়নের ৫১২ জন নিম্নআয়ের পরিবারের মাঝে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির চাল বিতরণ করেন এই ডিলার। নিয়ম অনুযায়ী ডিলাররা সুবিধাভোগীদের ৪৫০ টাকায় ৩০ কেজি চাল দেয়ার কথা। তবে ডিলার খাদ্যগুদাম থেকে চালের ৩০ কেজির বস্তার পরিবর্তে ৫০ কেজির বস্তা নিয়ে তার বাড়িতে তুলেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ইউনিয়নের পারভেল্লা, যশাই এলাকায় একাধিক খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সুবিধাভোগীরা জানান, ১০ বছর আগে এ কর্মসূচির শুরুতে তাদের ৩০ কেজি চালের বস্তা দেয়া হতো। কিন্তু এখন চাল নেয়ার জন্য তাদের বাড়ি থেকে খালি বস্তা নিয়ে আসতে হয়, না আনলে বস্তা প্রতি ২০ টাকা করে দিতে হয়। একসাথে ২ বারের ৬০ কেজি চাল দেয়া হচ্ছে। যারা বস্তা নিয়ে আসছে তাদের ৬ কেজি করে কম দেয়া হচ্ছে। যারা ২০ টাকা দিচ্ছে তাদের একটা ৫০ কেজির বস্তাসহ আর একটি ব্যাগে ৮ কেজি করে চাল দেয়া হয়েছে।
এসময় সুবিধাভোগীরা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, আমরা প্রতি কেজি চাল টাকা দিয়ে কিনে নিচ্ছি।তবে কেন কম দেয়া হবে।
মোছা. সুফিয়া খাতুন বলেন, আমার স্বামী তোফাজ্জেলের নামে কার্ড থাকলেও এক বছর যাবত কোন চাল পাই না।
সরেজমিনে দেখা যায় সেখানে ট্যাগ অফিসারকে পাওয়া যায়নি।
ডিলার শাজাহান শেখের সাথে কথা বলতে চাইলেও তিনি কোন কথা বলতে রাজি হননি।
পাংশা উপজেলা খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা রেজাউল হোসেন বলেন, বস্তার জন্য অতিরিক্ত কোন টাকা নেয়ার কথা না। গুদাম থেকে চাল কম দেয়া হয় না তবে সুবিধাভোগীদের কেন চাল কম দেয়া হবে। সেখানে সার্বক্ষণিক একজন ট্যাগ অফিসার থাকার কথা।
বিবার্তা/মিঠুন/লিমন
সম্পাদক : বাণী ইয়াসমিন হাসি
এফ হক টাওয়ার (লেভেল-৮)
১০৭, বীর উত্তম সি আর দত্ত রোড, ঢাকা- ১২০৫
ফোন : ০২-৮১৪৪৯৬০, মোবা. ০১৯৭২১৫১১১৫
Email: [email protected] , [email protected]